Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনাম – গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
প্রণবানন্দ গোস্বামী
২৭.০৪.২০২২

নেতা হবো মন্ত্রী হবো
নামবো এবার ভোটে
পকেটটা ভরবো এবার
কাটমানির নোটে,
বিঘা দশেক জমির উপর
মস্ত হবে বাড়ি,
গ্যারেজেতে থাকবে ভরে
বি এম ডব্লিউ গাড়ি।
সিন্দুকটায় থাকবে অঢেল
পান্না হীরে সোনা,
চারিপাশে সুন্দরীরা
করবে আনাগোনা,
এমন সময় ঘুমটা ভাঙ্গে,
স্বপ্ন গেল চলে,
“গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল”
একেই বুঝি বলে।
*****

——————————————–

রক্ত সিঁদুর_
___ডিএস মজুমদার

রক্তসিঁদুরে
রাঙা সিঁথি
সুকন্ঠে ভালোবাসি।

সবুজাভ গোধূলিলগ্নে
তোমার অলক্তক পায়ে
বিচরণে প্রাণশক্তি।

তোমার মুখাবয়ব
দৃষ্টির অগোচর
হৃদয়ে রক্ত সঞ্চালন স্তব্ধ।

_______________
আঁধারে পাঞ্জেরী_

——————————————–
♦♦এক ফালি ঈদের নতুন চাঁদ♦♦
মোহাস্মদ জাহিদ হোসেন
***********************

আপনারা যারা নিয়মিত আমার লেখা পড়েন সবাই আমার গল্পের নায়ক অভিকের বর্তমান অবস্থা সমন্ধে অবগত আছেন।

তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য
অভিকে বর্তমান অবস্থার কিছুটা তুলে ধরছি।

গত ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ এ অভিকের ওপেন হার্ট অপারেশন হয়। সেই থেকে অভিক সম্পুর্ন বেকার। তার পর ২০২২ সালের জানুয়ারীতে আবার অভিকের হার্টে ব্লক হয় যেটা ১০০%।

সে সময় অভিকের বন্ধুরা অভিককে সম্পুর্ন সাহায্য করে অভিকের এনজিওগ্রাম থেকে ঔষধ পর্যন্ত। অভাকের ব্লকটা হার্টের এমন জায়গায় হয় , যেখানে রিং কিম্বার ২য় বার অপারেশন করা সম্ভাব নয়। এখন একমাত্র ভরসা আল্লাহ।

অভিকের এক মাত্র চিকিৎসা এখন দামী দামী ঔষধের উপর যা অভিকের পক্ষে কেনা ভাবেই সম্ভাব নয়। তাই এখন অভিক নিজেকে সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিয়ে বিনা ঔষধেই দিন পার করছে।

অভিকের আয়ের একমাত্র পথ ছিলো চাকুরী। কিন্তু অভিকের অসুস্থতার জন্য গত জানুয়ারী থেকেই অভিকের আয় সম্পুর্ন রুপে বন্ধ।

আস্তে আস্তে অভিকের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগলো। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে যে, নিয়মিত অভিকের পক্ষে ঔষধ কিম্বা ডাক্টর চালিয়ে যাওয়া সম্ভাব হচ্ছে না।

আর অভিকের সংসার সেটা তো অভিক তার দুই মেয়েকে নিয়ে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

অভিক অত্যান্ত সাধারন একজন মানুষ, তার পরেও অভিক নিজের সংসার আর দুটি মেয়ের দিকে চেয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

আজ প্রায় পাঁচ মাস যাবৎ অভিক সম্পুর্ন চাকুরীহীন বেকার।

অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু চাকুরীর কোন ব্যবস্থা করতে পারছে না।

চাকুরীহীন অভিক কোন ভাবেই আর সংসারটাকে চালাতে পারছে না। নেই কারো সামান্যতম সহানুভুতি। অভিক দুটি সন্তান নিয়ে আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

অভিকের স্বপ্ন ছিল,হয়তে সবার চেষ্টাই ভালো একটা চাকুরী হবে। অন্তত এই যন্ত্রনাময় জীবন থেকে কিছুটা রেহাই পাবো,কিন্তু বাস্তব যে এতোটা কঠিন তা অভিক স্বপ্নেও ভাবতে পারে নাই।

কিছু পরিচিত জন সামান্য কিছু সাহায্য করেছে যা দিয়ে কোন রকমে পার করছে অভিক এ দিন গুলো। আসলে বর্তমান সময়টা বেশ কষ্টের মাঝেই কাটছে অভিকের।

অভিক পারলো না ঈদে মেয়ে দুটোকে কিছু কিনে দিতে। আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য সেটাও সম্ভাব হয়নি।

কি ভাবে যে অভিকের দিন গুলো কাটছে সেটা আসলে কোন শব্দ বা বাক্য দ্বারা বোঝানো সম্ভাব নয়।

প্রচন্ড গরমে অভিকের মনে হয় জানটা এখনি বের হয়ে যাবে। ঘামে সমস্ত শরীর ভিজে গেছে। তাই আর সহ্য হচ্ছে না অভিকের।

সামনে খোলা পার্ক তাই গাছের নীচে একটু বসলো অভিক। অভিকের কেমন যেন চোখের পাতাটা ভারী হয়ে উঠলো আর মনে হতে লাগলো কবে যে শেষ বার নিজের জন্য কিছু কিনে ছিলো সেটাই মনে করতে পারছে না। যখন অভিকের চাকুরী ছিলো সে সময় অভিক তার মেয়ে দুটোর জন্য কিছু না কিছু কিনেছে। বেশ ভালো ভাবেই চলছিলো অভিকের দিন কিন্তুু সর্বনাশা হার্টের রোগ অভিকের জীবনটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

একজন বাবার কাছে তার সন্তানের চোখের জল যে কতোটা কষ্টের তা হয়তো কারো জানা নেই। সেটা কেবল সেই বুঝে যার জীবনে এমন ঘটেছে।

হঠাৎ দমকা ঝড়ো বাতাসে অভিকের তন্দ্রা ভাঙলো। চারিদিকে প্রবল বাতাস মনে হয় প্রচন্ড ঝড় হবে।

আসলে বিধাতার লীলা বোঝা ভার কখন যে উনি কি করেন তা উনিই জানেন।

অবশেষে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় গেলো অভিক।

অভিকের ছোট মেয়ের যেন বায়নার কোন শেষ নেই, তাকে এটা ওটা কিনে দিতে হবে। কিনে দিতে ঈদে নতুন জামা,জুতা আরো কতো কি!

বাসায় আসা মাত্রই তার আবদারের ঝুড়িটি মেলে ধরে অভিকের সামনে।
”আব্বু আমরা নতুন জামা কিনে দিবে না?”

আব্বু আমরা ঈদে ভালো কিছু খাবো না?
আব্বু ঈদের দিন আমি কিন্তু নতুন জামা পড়ে সাজবো?

অভিক বলে, “দিবো মা, কটা দিন পরে।”
“আর কতো পরে? ঈদ যে চলে এসেছে?”

অভিক শুধু ওর মাথায় হাত দিয়ে বলল ,
“তোমারও সব হবে।”

এ সময় অভিক ওর দিকে কোন ভাবেই তাকাতে পারিছিলো না কারন পাছে ও অভিকের চোখের জল দেখে ফেলে !

মনে মনে অভিক ভাবে এ যেন নিজের সাথে নিজের সুনিপুণ প্রতারণা।

মাঝে মাঝে চিন্তা করে কটা টাকার জন্য আজ অভিকের নিজের চোখের জল লুকিয়ে রাখতে হয় তার মেয়ের কাছ থেকে।

হেরে যেতে হয় বার বার অভিককে মেয়েদের কাছে।

জানি না কি বড় অপরাধ ছিলো অভিকের বিধাতার কাছে?

এ সব চিন্তা করতে করতে সময়ের সাথে বাড়তে থাকে অভিকের বুকের কাটা অংশের ব্যাথা। ব্যাথাটা যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে এক সময় অভিক চেতনা শক্তি হারিয়ে ফেলে ।

মেয়ে দুটি অভিকের কাছে আসে, ওদের দু’চোখে পানি টলমল করছে হয়তো যে কোন সময় ঝড়ে পরার অপেক্ষায়।
মেয়েরা বলল,
”আব্বু ঈদ তো সারা সময় করলাম, সামনের বছর তো আবার ঈদ আসবে তখন নয় আমরা ঈদ করবো।”

এ কথা শুনে যেন অভিকের বুকের সমস্ত পাজরগুলো ভেঙতে লাগলো,অভিক তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না, হাওমাও করে কাঁদতে শুরু করলো।

মেয়েদের সান্তনা যেন অভিকের বুকের মাঝে এক প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি করলো।

সারাটা সময় অভিক ভাবতে লাগলম কি ছিল তার অন্যায়?

যার কোন উত্তর অভিকের জানা নেই। আগেই বলেছি অভিক খুব সাধারন তাই সব কিছুই অভিকে মুখবুজে সহ্য করতে হয়।

সমাজের সমঅধিকার এর জন্য প্রতিবাদ করার মতোন অভিকের পাশে কেউ নেই। এ যেন স্বাধীন দেশে পরাধীনতার এক অনণ্য সহ অবস্থান।

এদিকে দিন গড়াতে থাকে ঈদের আর কটা দিন বাকী । অভিকের বুকের ব্যাথাটা আস্তে আস্তে যেন অভিকে র সমস্ত জীবনীশক্তিকে ম্ল্যান করতে দিতে থাকে।

কোন অজানা ঝড়ে আজ অভিক বিধ্বস্ত? কেবলি অভিকের চোখের জল আজ অভিকে এক মাত্র সম্বল।

ছোট মেয়েটাকে সরাসরি না করতে পারে না অভিক শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“মা তোমার যা লাগে সব এনে দিবো।”

মেয়ে অভিকের অশ্রূশিক্ত নয়নের দিকে তাকিয়ে কি যেন এক অজানা চিন্তা নিয়ে পাশের রুমে চলে যায়।

অভিকের বড় মেয়েটা শুরু করে টিউশনি,হয়তো সে বুঝে গেছে তার জীবনের পড়াশুনার পাঠটা বোধ হয় এবার চুকলো।

ও, আপনারা সবাই হয়তো নিশিকে চিনেন, হ্যাঁ সে অভিকের ভালোবাসা।অভিকের চরম অবস্থা দেখে সে যেন কেমন হয়ে গেছে।

সময় হয়তো অভিকের সংসারটাকে আর এক সূতায় বাঁধতে পারবে না।

ঈদের বাকী আর কদিন দিন ক্রমে ক্রমে রাত গভীর থেকে গভীর হতে লাগলো আর অভিক একান্ত মনে ভাবতে লাগলাম অভিকের জীবনের কথা, জীবনে বয়ে যাওয়া হঠাৎ ঝড়ের কথা।

কদিন পরে ঈদ হবে, সবাই আনন্দে মাতোয়ারা হবে। কেবল সবার অড়ালে অভিক আর তার মেয়েরা পার করবে ভয়াবহ এক দীর্ঘ্য দিন।

চরম বাস্তবতার কাছে হেরে গেল আজ অভিকের সমস্ত জীবন।

সমাজের কেউ কি পারে না একটা সাজানো সংসারের ভাঙ্গা রুখতে ?

কেউ কি পারে না অভিকের মেয়েদের দু’চোখের স্বপ্ন পূরণ করতে?

সমাজের লোকদের চরম অবহেলা দিয়েছে অভিকে মৃত্ত্যর অদৃশ্য সনদ।

এ সব ভাবতে ভাবতে অভিকের সমস্ত শরীর ঘেমে উঠলো,বুকের চাপটা চারিদিক দিয়ে ক্রমশ বাড়তে লাগলো, ঐ দূরে জ্বলে থাকা আলোটা কেমন যেন আরো দূরে সরে যেতে লাগলো,চারপাশের শব্দগুলো কেমন যেন অস্পষ্ট মনে হতে লাগলো অভিকের কাছে।

এর মাঝে অভিকের চোখে ভেসে উঠলো ঝলমলে অভিকের মেয়েদের মুখ আর আবছা সরু এক ফালি ঈদের নতুন চাঁদ।

লেখার ধরণঃ ছোট গল্প
পোস্টের তারিখঃ ২৭-০৪-২০২২

——————————————–
যাকাতের কাপড় নাকি মশারি !
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী।
আমরা সৃষ্টির সর্ব শ্রেষ্ট জীব মানুষ হলেও আমরা বড়ই আজব আর বিচিত্র চরিত্রের অধিকারী। আমারা নিজেদের জন্যে, নিজেদের পরিবার পরিজন বা আত্মীয়স্বজনের জন্যে কাপড় চোপড় যখন কিনি তখন নানান ডিজাইন, হাল ফ্যাশানের এবং দামী কাপড় চোপড় কিনে থাকি। অনেকের আবার ব্র্যান্ডেড কাপড় চোপড় আর প্রসাধনী না হলে চলেই না। তা না হলে সমাজে যে তাঁদের তথাকথিত স্ট্যাটাস বা ইজ্জত-সম্মান বজায় থাকেনা। অনেক মহিলা এমনকি কিছু পুরুষও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন আপনি কোন ব্র্যান্ডের বা কত দামী পোশাক পরিচ্ছদ, জুতা, ঘড়ি, টাই, স্যুট পড়েছেন। অনেক বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে এ নিয়ে নীরব, কখনো বা সরব আর অশুভ প্রতিযোগিতা চলতে থাকে।
মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন ইবাদতকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটি হল দৈহিক ইবাদত যার মধ্যে সালাত বা নামাজকে এবং আরেকটি আর্থিক ইবাদত যার মধ্যে যাকাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। ধণিলোকদের জন্যে যাকাতকে ফরজ করা হয়েছে এবং তা যথাযথভাবে আদায় করার জন্যে বার বার তাগাদাও দেয়া হয়েছে। যাকাত দেয়া যাঁদের উপর ফরজ করা হয়েছে তাঁরা গরীবের প্রতি তাঁদের হক আদায় করবেন এটা ইসলামের বিধি বিধান। সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। ইসলাম সমাজে দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্যে, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যে যাকাতের প্রবর্তন করেছেন। এক উদ্ধৃতি থেকে তা সহজে অনুমেয় — “প্রকৃতপক্ষে যাকাত, দান-সদকা, উপহার-উপঢৌকন, সালাম বিনিময়, দোয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, ঐক্যবোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতা-সহমর্মিতা ও কল্যাণ কামনার বুনিয়াদে সকল বৈষম্য দূর হয়ে সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বভিত্তিক কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই ইসলামে বৈষম্য দূরীভূত করে সাম্য-মৈত্রীর সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাকাত বিধান এক বিস্ময়কর অবদান।
আমরা বাস্তবে করছি কি ? যাকাত প্রদানের পদ্ধতি প্রকৃতি হিসেবে অনেকেই যাকাত প্রদান করছেন না। অনেকে নিজেদের ইচ্ছে বা খেয়াল খুশিমত যাকাত প্রদান করছেন যা ইসলামী বিধি বিধানের পরিপন্থী। অনেকে লোক দেখানো যাকাত প্রদান করছেন যাতে ভুখা নাঙ্গা মানুষ পদদলিত হয়ে সামান্য শাড়ি, লুংগি আর কিছু নগদ টাকার জন্যে পরাণ দিচ্ছেন বছরের পর বছর। আমাদের স্মৃতি থেকে এখনো বিস্মৃত হয়ে যায়নি ময়মনসিংহের নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরিতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারী শিশুসহ কমপক্ষে ২৭ জন নিহিত হয়েছিল আর আহত হয়েছিল অর্ধশতাধিক মানুষ।চট্টগ্রামে কবির ষ্টীলের জাকাত নেয়ার সময়ও প্রায় ১১ জন মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায় কয়েকবছর আগে। যাকাত দেয়ার নামে মানুষ খুন করার এই দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত ঘটনা এখনো বন্ধ হয়নি, দেশের কোথাও না কোথাও তা ঘটে চলেছে। তারচেয়েও বড় দুঃখজনক এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা হচ্ছে মানুষ যারা যাকাতের কাপড় দিয়ে নিজেদেরকে মহান করতে চায় তাঁদের হীন মন-মানসিকতা দেখে। তাঁরা কম দামে অনেক কাপড় চায়, বেশী সংখ্যক মানুষকে বিতরণের জন্যে। যাকাতের কাপড়কে কাপড় না বলে মশারী বলা উচিৎ। মানুষ এতো কম দামে কিনতে চায় যে তা গামছার মতো পাতলা, বা মোটা হলেও এতো হাল্কা বুনন যে তাতে শরীর দেখা যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। দোকানিরা বলেন এতো কম দামী হওয়ার পরেও আরো কম দামী যাকাতের কাপড় খোঁজে মানুষ। হায়রে বিচিত্র মানুষ ! বিচিত্র তোমাদের মন মানসিকতা ! নিজের জন্যে দামী আর ব্র্যান্ডেড কাপড় আর যাকাতের জন্যে চাই সবচেয়ে কমদামী অর্থাৎ কাপড় নামের কাপড় হলেই হল। হোক না তা মশারীর মতো ? মৃত্যুর পর কিন্তু সবার সাদা সুতির কাপড়ই লাগবে। সেখানে কিন্তু ব্র্যান্ডেড কিছুই চলবে না। আসুন আমাদের মন মানসিকতা বদলাই। দান করার সময় বা যাকাত দেয়ার সময় ভালো কাপড়টাই বা ভালো জিনিষটাই দেই। নাম কামানোর জন্যে অনেক সংখ্যক মানুষকে না দিয়ে যে কজনকেই দেই ভালো জিনিষটাই দেই। দান-সদকা আল্লাহ্‌র পছন্দনীয় একটা ব্যাপার, এখানে অনেক নেয়ামত রয়েছে। দান-সদকার সময় কৃপণতা নয় এটা আমাদের বুঝা উচিৎ।

——————————————–

বাবা কতদিন দেখিনি তোমায়

ঘুম নেই চোখে হাহাকার বুকে
একলা শূন্য ঘরে রেখেছ কতোনা সুখে ?
একা হয়ে গেছি অনেক একা ;
পুরনো স্মৃতিতে আবার ফিরে দেখা —
কোথায় গেলে , কেন চলে গেলে ?
আমায় হেথায় একলা ফেলে —?

স্নেহ মমতায় করেছিলে বড়
তুমি হীন আমি আজ জড়সড় ;
আজ সবি আছে নেই শুধু তুমি —
একলা ঘরে তোমারি কথা শুনি !

হারিয়ে গেছ কোন অজানাই
তোমায় খুঁজে ফিরি তোমারি সাজানো আঙ্গিনায় —
সবি আছে সাজানো হেথায় ;
তুমি আছো আজ অন্য কোথায় ?

দূর আকাশের কোন সীমানায়
দৃষ্টি যে যায় ঐ নীলিমায় !
রাতের তারায় চোখ বাড়িয়ে
তোমায় খুঁজি রোজ ;
কোথায় আছো, কেমন আছো
পায়না কোন খোঁজ ?

জানি তুমি ভালোই আছো
অনন্ত অবসরে —-
আমায় একলা করে রেখে গেছো
তোমার সাজানো ঘরে !

ভালো থেকো হেথায় তুমি
অনেক ভালো থেকো ;
মাঝে মাঝে স্বপ্নে এসে
একটু আমায় দেখ !!

রোকশানা আক্তার
রচনা কাল : ২৭.০৪.২০২২

——————————————–

আমরা হুজুগে হুতাশ করি
এস এম শামীম

আমরা হলাম বাংঙ্গালী আর হুজুগিও বেশ
আগে পরে কিছু চিন্তা না করেই
দেখে দেখে লাফ দেয় হুতাশে মরি
ভাবা চিন্তার বলাই সার,আর খুব তড়িঘড়ি,,।
এক লোক রাস্তাদিয়ে হেটে যাচ্ছে
হাতে তিনটা রুটি তার সাথে নিয়ে,
হঠাৎ রাস্তার পাশে দেখলো একটা কুকুর,
ক্ষুধার জ্বালায় মরতে যাচ্ছে প্রায়
কাঁকিয়ে কাঁকিয়ে ছটফটানিতে,
তখন লোকটা কিছু না ভেবেই
কুকুরের একটা পা ধরে নিজেও কাঁদতে থাকে,,।।
তারপর আর একজন লোক আসলো
ওই পথ দিয়ে, এবং দেখতে পেলো
মানুষ কুকুরের পা ধরে কাঁদছে,,
তা দেখে লোকটা ভাবলো, কুকুরটা মনেহয় বরকতি
নয়লে মানুষ কেনো কুকুরের পা ধরে কাঁদে,
তখন সেও আরেকটা পা ধরে কাঁদতে শুরু করলো,,।।
তার পর আরেকজন আসলো সেই পথে
এইদৃশ্য দেখে সে ভাবলো মনে মনে
দুই জনে জামায়ত মিলে না তো কভু
আমি যাই তিনজনে জামায়ত পূরন করি,
তারপর এই ভেবে সেও গেলো বসে
আরেকট পা ধরে কাঁদতে আরম্ব করে দিলো,,।।
এভাবে আরেক জন আসলো সেখানে
চতুর্থ লোক সেও বাকী পা টা ধরে কাঁদতে শুরু করেদিলো,
চলছে কান্নার রোল সেখানে অঝর ধারায়,,
আরেক জন আসলো সেখানে এসেই অবাক,
তাদের কান্না দেখে,চিন্তায় পড়েগেল
আর মনে মনে ভাবলো,
চারজন লোক একটা কুকুরের পা ধরে কাঁদছে
নিশ্চই কোনো বড় মেটার হবে,
কিন্তু আর তো পা নাই,, এখন কি করি,
সে কুকুরের লেজ ধরে কাঁদতে আরম্ভ করে দিলো,,।।
ছয় নাম্বারে আসলো সেখানে একজনম হুজুর,
হুজুর লোকটা এসে দেখলো যা খুশি তা ঘটনা,
হুজুর লোকটা সবাইকে ডাকলেন
এবং তার কারন জিজ্ঞেষ করলেন, কি হলো,
জবাবে ৫মজন বলেলেন হুজুরকে
তাদের কাঁদতে দেখে আমি কাঁদছি
৪র্থ জন বললেন আমি ও আগের
তিন জন কে দেখে দেখে কাঁদছি
৩য় জন বললেন আমি আগের
দুজন কে দেখে ভাবলাম
তিনজন হলে জামায়ত পুরা হয়
তাই আমি জামায়ত মিল করলাম,
২য় জন বললেন আমি প্রথম জনকে দেখে
ভাবলাম মানুষ কেনো কুকুরে পা ধরে কাঁদে
নিশ্চই কুকুরটা সাধারন কুকুর নয়,।।
১ম জনকে জিজ্ঞেষ করলে
সে বলে কুকুরটা ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাঁদতেছে
প্রায় মরি মরি অবস্থায় ছঁটফঁট করছে
তাই চোখের পানি রাখতে পারলাম না
তাই আমিও সমবেদনায় কাঁদছি,।।
কথা শোনতে শোনতে হুজুর দেখলেন
পাশে একটা পোটলা পরে আছে
ওটা দেখে জিজ্ঞেষ করলে
১ম লোক জবাবে বলে এটার মধ্যে
তিনটা রুটি আছে আমিখুব খুধার্ত খাবো,
একটু চিন্তা করে হুজুর বললেন
তোমার কাছে তিনটা রুটি আছে
কুকুরটা ক্ষুধায় কাঁদছে,
তুমি দুটো খেতে আর একটা কুকুর কে দিতে পারতে
তা না করে কাঁদছো কেনো,,,,
জবাবে ১ম লোকটা বলে
হুজুর চোখের পানি যতটা সহজে বের হয়
পুটলা হতে রুটি বের করা ততটা সহজ নয়।।
এই হলো আমাদের অবস্থ্যা,,
সমাপ্ত
২৬/০৪/২০২১

——————————————–

Powered by themekiller.com