Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুরের গ্রাৃমাঞ্চলের মুদি ও চা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ।

চাঁদপুরের গ্রাৃমাঞ্চলের মুদি ও চা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ।

মোঃ মহসিনঃ- অনভিজ্ঞ পেশাদার ঔষধ ফার্মেসী গড়ে ওঠছে এখন গ্রামাঞ্চলের মুদি ও চা দোকান গুলোতে। এ সব দোকান গুলোতে ভেজাল ও নিন্মমানের ঔষধ বিক্রয় চলছে দেদারছে। নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তবে এসব দোকান গুলো থেকে অশিক্ষিত মানুষরাই দোকানদের কৌশলে প্রতারিত হচ্ছে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত চা ও মুদি দোকান গুলোতে এ ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। ওষুধ আমাদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।তবে সেটা নিয়ম মেনে খেতে হবে।কিন্তু ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়া নিম্ন মানের, অনুমোদন হীন, ভেজাল ওষুধ মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এধরনের ওষুধগুলো তাৎক্ষনিক ভাবে মানুষের ক্ষতি না করলেও দীর্ঘ মেয়াদে তা শরীরে বিভিন্ন প্রকারের জটিল রোগের জন্ম দেয়। ভুল ঔষধ সেবনে অকাল মৃত্যু ও হতে পারে। জেলার গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে যত্রতত্র স্থানে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য মুদি ও চায়ের দোকান।এসব দোকানে ওষুধ বিষয়ে একেবারে অনভিজ্ঞ দোকানিরা বেশী মুনাফার আশায় ভেজাল ও নিম্ন মানের কোম্পানীর ওষুধ মুখস্হ ভাবে দেদারসে বিক্রী করছে যা এলাকার সহজ সরল অশিক্ষিত মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব দোকানিদের ন্যুনতম প্রাথমিক শিক্ষা ও নেই। আর এসব ওসুধ সরবরাহ করছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী, যারা ঢাকার মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেট থেকে স্বল্প মূল্যে মানহিন ওষুধ ক্রয় করে এনে গ্রামের দোকানে দোকানে সরবরাহ করে। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন, কিংবা সরকারী অনুমোদনহীন অথবা অভিজ্ঞ পল্লীচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকারক।অথচ গ্রামের বাজারগুলোতে আর,এম,পি/ ডিএম এস/ এল এম এ এফ / ফার্মাসিস্ট সহ অনেক অভিজ্ঞ পল্লীচিকৎসক রয়েছেন। সাধারন রোগীরা পল্লী চিকিৎসকের শরনাপন্ন না হয়ে ঐ সব চা ও মুদি দোকান থেকে ভেজাল ঔষধ ক্রয় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তুলনামূলক কমদাম এবং বাড়ীর কাছে সহজলভ্য হওয়ার কারনে এরা পল্লী চিকিৎসকের কাছে যেতে আগ্রহী হয়না।জেলার গ্রামাঞ্চলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন দোকানিদের ওষুধ বিক্রি না করার জন্য নিষেধ করা হলেও ভেজাল ঔষধ বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও সোস্যাল মিডিয়া, প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স অশিক্ষিত সাধারন রোগিদের ক্ষেত্রে জনসচেতনা ও সরকারীভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।প্রশাসনিকভাবে ও চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারন জনগন এধরনের স্বাস্হ্য ঝুকি থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে সচেতন মহল আশা প্রকাশ করছে। এমনকি অকাল মৃত্যুও রোধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Powered by themekiller.com