Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা চার সাহিত্য

কি করে ভুলিব তোমায়
নুর এমডি চৌধুরী

আমার আঁখিতে রেখেছিলো আঁখি
প্রণয় অন্ধকারে
লাজুক লতায় ঝুলে-দুলে দেহ জড়ায়েছিলো আপনারে
কি করে ভুলিব তারে।

খুলিয়া দখিনা দ্বার
চাহিয়া দেখি পরতে পরতে
স্মৃতিদের হাহাকার

কত বসন্ত আসে ফিরে যায়
শালিক শালিকে কাঠ ঠোকরায়
কত রজনী ফিকে হয়ে ফিরে
মন নেই মহোয়ায়
কি করে ভুলিব তোমায়।

কি করে ভুলিব তোমায়
চুড়ি ভাংগিবার নিক্কন শব্দে
লিপশটিক রাংগানো ঠোঁটের স্তব্দে থরথরে স্নেহ তায়
কি করে ভুলিব তোমায়।

কি করে ভুলিব তোমায়
আগুন নিভানো নিশির রজনী
মধুর স্পর্শে মাতাল সজনী
গেহ মজে শুভ্রতায়
কি করে ভুলিব তোমায়।

——————————————–
কবিতাঃ প্রেমের সান্নিধ্যে।
লেখাঃ শামীমা শ্রাবণী
তাং- ৩১ /০৩/ ২০২২ ইং

তুমি কি আসবে?
যদি আশ্বাস পাই তবেই খোলস থেকে বেরুবো
শুধু মানুষ নয়,
প্রেমের সান্নিধ্যে সেইদিন আমি প্রেমিকও হবো

তারপর-
একপাটি দাঁত পরে যাওয়া বৃদ্ধের হাতে হাওয়ায় মিঠাই হবো।
মুখ থুবড়ে পরাটা ঘুড়িটা’য় আবার সূতোয় বাঁধা নাটাই হবো।

খাঁচায় বন্দী পাখিটার জন্য নীল রঙা অসীম সেই আকাশ হবো।
অভিমানী কিশোরীর বন্ধ জানালায় আবার দখিনা
বাতাস হবো।

পথহারা নিঃস্ব বাউলের হাতে সুরের সেই
একতারা হবো।
নর্দমায় থাকা শিশুটির কপালের বামপাশে
চাঁদতারা হবো।

তৃষ্ণার্ত শ্রমিকের শুষ্ক কন্ঠে হবো এক নদী
শীতল জল।
কুচকুচে কালো বর্ণের পথশিশুর হাতে হবো
রঙিন বল।

তুমি কি আসবে?
যদি আশ্বাস পাই তবেই খোলস থেকে বেরুবো
শুধু মানুষ নয়,
প্রেমের সান্নিধ্যে সেইদিন আমি প্রেমিকও হবো।

তারপর-
মনের সব মেঘ সরিয়ে তোমার আঁধারে আলোর
প্রদীপ হবো।
তুমি চাইলে তোমার চোখের জলের গভীর একটা
ব-দ্বীপ হবো।

তুমি কি আসবে?
যদি আশ্বাস পাই তবেই খোলস থেকে বেরুবো।
শুধু মানুষ নয়,
প্রেমের সান্নিধ্যে সেইদিন আমি প্রেমিকও হবো।

——————————————-

বিষয়ঃকবিতা
শিরোনামঃঅদ্ভুত এক শীতলপাটি
কলমেঃজেরিন ইসরাত ন্যান্সি
তারিখঃ০১–০৪–২২

আমার একান্ত নিজস্ব কোনো নদী নেই অথচ কান পাতলেই টলটলে নদীর ঝিরিঝিরি শব্দ শুনতে পাই,
এমনকি শুকনো পাতাও খসে খসে পড়ে,
পুরো দিন জুড়ে টুপটাপ টুপটাপ…
বুকের ভেতর অদ্ভুত এক শীতলপাটি,
বসে থাকি নিজেকে নিয়ে
ওষ্ঠে খেলা করে কখনো আদুরে রোদ
কখনো বিষাদ মাখা মেঘ।
আমার একলা একার আকাশ নেই একটিও,
কিন্তু চোখ বুজলেই দেখতে পাই ধূসর মেঘ রঙা আকাশ এক পশলা বৃষ্টি নিয়ে চলে আসে অদৃশ্য কার্নিশে সবুজ অর্কিডের পাতায় পাতায় তিরতির জলের স্পর্শ হয়ে।
আমার নেই একখানাও বট,পাকুর, নয়নতারার ঝোপঝাড়,গাঢ় নীলচে জলপাই বন কিংবা হলদে কামরাঙা গাছের সারি
তবুও যেনো নিঃশ্বাস নিতে নিতে টের পাই লেবুর নির্মল নির্জাস,
আর করতলে অরণ্যের ছায়ার কারুকাজ।
আমার বুকের ভেতর অদ্ভুত এক শীতলপাটি,
বসে থাকি নিজেকে নিয়ে,
কপালে আলগোছে পরে থাকা টিপের সাথে মিশে থাকে বিষন্নতা আর খানিকটা বিভ্রম।
আমার নেই আস্ত একটি রুপালী চাঁদ কিংবা মায়াবী আলোয় স্নান সারার মতো পূর্ণিমা রাত,
তবুও ঘুমের ঘোরে চন্দ্রাহত আমি স্বপ্ন দেখি বিবাগী জোছনা আলো ফেলে গেছে
আমার জানালার গরাদ ভেদ করে।
আমার বুকের ভেতর অদ্ভুত এক শীতলপাটি…
বসে থাকি নিজেকে নিয়ে,
এলোমেলো চুলে হাওয়ার লুটোপুটি
ঘুঘু ডাকা দুপুরের মতো আলসে নির্জনতা
ঘিরে থাকে আমাকে আর নিঃশব্দ প্রার্থনার নিরুচ্চারিত উচ্চারণে।

——————————————-

পুরুলিয়ায় দুদিন
তন্ময় ভট্টাচার্য
31.3.2022

দোলের আগে দিন তিনেক এর জন্য সপরিবার পুরুলিয়া গিয়ে ছিলাম। ঘুরেছি অযোধ্যা সার্কিট ও গড় সার্কিটে। ঐ সার্কিট এর বাইরে দেউলহাটা ও কল্যাণেরশ্বরী মাইথন ঘূরে নিয়ৈছি। কারে গিয়ে ছিলাম। শক্তিগড় আসতে পুরি ল্যাংচা সহযোগে ব্রেকফাস্ট সেরে দূর্গাপুর ব্যারেজ পেরিয়ে বরাজোর রোড ধরে বাঁকুড়া শহরে যাওয়ার সময় বেলিয়াতোড়ে মেচামহলের বিখ্যাত মেচাসন্দেশ খাওয়া হলো। নামেৃ সন্দেশ হলেও আসলে কাজুকিশমিশ ঘি দিয়ে তৈরি ডালের বরফি এই মেচা সন্দেশ। খেতে মন্দ না। পথে গাড়ির টায়ার পাংচার। নতুন টায়ার লাগিয়ে পুরুলিয়া পৌঁছতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। রুপসী বাংলা হোটেলে ঘর ভালো খাওয়া দাওয়া ভালো তবে সার্ভিস টা একটু কমজোরি। আমাদের রাতের খাবারের মেনু ছিল রুটি আলুর দম আর সঙ্গে নিয়ে আসা মেচা সন্দেশ। বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় পোস্তর চলটা বেশি তাই আলূর দমের কাই পোস্তয় ভরা। পরের দিন সকালে চা বিস্কুট খেয়ে বেরিয়ে পড়া। পথে নাস্তা পুরি সবজি। তাতেই পেট আই ডাই। সারা দিন শুধু আখের রস নিম্বু পানি শশা এসব খেয়ে চলা। মার্বেললেকেশশা খেয়ে ছিলাম ।এরা কাঁচা শালপাতা করে দেয়। আসলে শালগাছও আছে আর পাতাও ঝরছে। অযোধ্যা পাহাড়ে ভালো লাগে বামনি ফলস ।লহরিয়া শিবমন্দির ছায়া শীতল জায়গা। চড়িদা মুখোশের গ্রাম। সব বাড়িতে মুখোশ তৈরি হয়। বিক্রি বাট্টা ভালোই। মরগুমা লেক যাওয়ার রাস্তাটি ভারী সুন্দর। লেকের সৌন্দর্য তো আছেই। আর বেগুনকোদর ঝালদা ছাড়িয়ে কংসাবতীর তীরে দেউলহাটা প্রত্নস্থল মন্দ লাগে না। মরগুমা তে ছাতুর শরবৎ খেয়েছিলাম। এরা ছাতুর শরবৎপেঁয়াজ লঙ্কা নুন লেবু দিয়ে বানায়। রাতের খাবার থাওয়ার পর মেয়ে বউ এর ফুড পয়জন। রাতে আমাদের সঙ্গে থ্যআনা ওষুধ খাওয়া। পরের দিন সকালে ডাক্তার কে ফোন করে নতুন ওষুধ কিনে খেয়ে কিছুটা সুস্থ হলে বেলায় বেরিয়ে জয়চন্ডী পাহাড় গড়পঞ্চকোট বড়ন্তি লেক ঘুরে আসা। বিকেলের পড়ন্ত রোদে লেকের জলে পাহাড়ের ছায়া এক মায়াম পরিবেশ সৃষ্টি করে। লেকের চারপাশে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পলাশ ফুলের মালা বিক্রি করছে। এই ছোট বয়সে ওদের দিয়ে রোজগারের চেষ্টা চলছে। পরের দিন ফেরার পালা। তবে কল্যাণেরশ্বরী মন্দির ও মাইথন ড্যাম দেখে ফিরব। এর আগেও দু তিন বার মাইথন ড্যাম দেখেছি। ড্যামের জলকে মরা মরা লাগত। এবার বরাকর নদীর জল তালে তালে নাচানাচি করছে। সুন্দর বোটিং করা গেল। জলের মধ্যে গজিয়ে ওঠা দ্বীপে একটু বিশ্রাম নেওয়া গেল। নৌকোর মাঝি সনাতন মাহাতো। দিনের মজুরি তিনশো টাকা। যাত্রীরা যেটুকু বকশিস দেয় সেটুকু উপরিপাওয়া। কল্যাণেরশ্বরী মন্দিরে ঢোকার আগে এক মারোয়ারী দোকানদার তার দোকানে জুতো খুলে রেখে যেতে বললো। পয়সা লাগবে না। ফেরার সময় ঐ দোকান থেকে প্যাঁড়া কিনে আনলাম বাড়ির জন্য। বুঝলাম ব্যাবসা ওদের রক্তে। এরপর আসানসোল রানিগঞ্জ দূর্গাপুর বর্ধমান পার হয়ে শক্তিগড়ের মামা ভাগ্নে দোকান থেকে সীতাভোগ মিহিদানা ল্যাংচা কিনে সোজা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

——————————————–

Powered by themekiller.com