কবিতা — নিশাচর
শ্যামল ব্যানার্জী।
২৩/০৩/২০২২
জেগে উঠি একদিন,
ভয়ংকর তুষার পাতে.. শব্দ মুখর রাতে,
জেগে উঠি,
দেখতে পাই, এখনও মানুষ আছি, ইয়েতির দেশে।
শৈত প্রবাহ চলছিল তবুও বাইরে এলাম,
কে যেন জবাব চাইছিলো আমার কাছে
রাতের ফিস্ ফিস্
কথা বলা শুনতে গেলাম।
তারপর.. শুধুই জমাট শূন্যতা ধরি হাতের মুঠোয়, লক্ষহীন নিরাকারে।
এ পৃথিবীর বুকে.. নক্ষত্র খচিত শূন্য ব্যাবিলনে,
কেউ তো এক নিশাচর আছে
যে আমার বিমূর্ত আর্তনাদ.. কান পেতে শোনে।
চাঁদ যখন মেঘের চাদরে যায় ঢেকে
সে তখন জানলার ধারে,
প্রতীক্ষা করে…
চোখ তার অসীম শুন্যতায়, হয়তো আমাকেই খোঁজে।
আমিও যে এক নিশাচর বহুদিন..
বহু নক্ষত্র পথ ধরে হেঁটে গেছি,
নেবুলার পথে অগুনিত তারাদের ভীড়ে পথভ্রষ্ট হয়েছি কখনও,
ঠিক তখনই কে যেনো, ধরেছে আমার হাত..
বলেছে, পথিক.. তুমি কি পথ হারিয়েছো।
তারপর..
শব্দহীন পদচারণা নাভি শঙ্ক্ষ ঘিরে,
বিল্ব পত্রে.. ভৈরবীর আবাহন করেছো সাকার।।
নিশ্চুপ রাত্রির সহবাসে তুমি
অতৃপ্ত বাসনার অন্ধকারে,
বিষ বাস্প ঢেকে রাখো
কাল রাত্রি এলে।
আমার প্রত্যক্ষ বিমূর্ত চেতনার সাত রঙ তুমি,
মূর্ত হবে বলে,
আজও আকাশ গঙ্গা পথে হাঁটি।