মোহাম্মদ সিন্টুঃ
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, কোভিড চলাকালীন আমাদের শিশুরা বেকার হয়ে পড়েছে, তারা একাকীত্ব জীবন যাপন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে, অবসরে শিক্ষার্থীরা সামাজিক অবক্ষয়সহ ইন্টারনেটে ঝুকে পড়েছে। যদিও এখন করোনা কমে আসছে, স্কুল কলেজ খুলে যাচ্ছে, দেশ আবার স্বাভাবিক হবে এটাই আমাদের কামনা। তিনি ১৯ মার্চ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন ও ২৯তম জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন,আমাদের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব আমার আপনার অভিভাবকদের। তাহলে তারা বিভিন্ন অপরাধমুলক করার সুযোগ পেতোনা। আজকের তরুন তরুনীরা এবং শিক্ষার্থীরা সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় আকৃষ্ট হলে তারা কোনো ভাবেই অপরাধ প্রবনতায় জড়িয়ে পড়বে না। সব শেষে তিনি বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরাই এ প্রজন্মকে দেশকে ভালোবাসতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো, তিনি অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দিতেন না, সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ হতে হবে।অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে আমরা সম্মিতভাবে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা রাখবো। শনিবার (১৯ মার্চ) দিনব্যাপী চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. বদিউজ্জামাল কিরন এর সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে অনেক বই বের হয়েছে এবংতাঁর সম্পর্কে গবেষনাো চলছে। সারা জীবন বাঙ্গালী জাতির জন্যে করেছিলেন। স্বাদীনতার যুদ্ধের জন্যে বাঙ্গালি জাতিকে জাগ্রত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অলেখিত ভাষন এতবার মানুষ শুনেছেন যা আর কোন ভাষন শুনেন নি। আমরা বিজয়ী জাতি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু না হলে এ স্বাধীন দেশ হিসেবে পেতাম না। আজকে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে উন্নত সম্মৃদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হলে তাঁর আত্মজীবনী পড়তে হবে। আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে হবে। শুধু মুখে নয় বুকেও তাঁর আদর্শ লালন করতে হবে। জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। নিজের সন্তানদেরকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাতে হবে। এদেশের জন্যে তিনি কি করেছিলেন তাঁর সম্পর্কে নিজের সন্তানকে জানাতে হবে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সহ-সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন।