কবিতাঃ- চৈত্র দাহ
কবি- মহসিন ভূইয়া
চৈত্র এসেছে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের বিস্ফোরণে
যুগ যুগ ধরে কালের ঘুর্নায়মান আবর্তনে
প্রান্তরের পর প্রান্তর,ধূ-ধূ নীল আকাশের শেষে,
পাখিদের দল ডানা মেলে যায় কোন সূদুর অজানায় হারিয়ে।।
শিমুলের ফুলগুলো হারালো যৌবন,হারালো রং,
তুলোর বোটার আগমনীতে,
জীর্ণ, শীর্ণ বৃক্ষরাজি প্রান ফিরে পায়,
রং-বেরঙের কচিপাতার নব জাগরণে।
মাঠ- ঘাট সব ফেটে চৌচির হলো,
আমের মুকুলগুলোও শুকিয়ে ঝরে গেলো,
পুকুর,খাল,বিল আর কুয়োগুলো যাচ্ছে শুকিয়ে,
মৎস্য আর জলজ প্রাণীকুলের আবাস চুটিয়ে।
সবুজ মাঠে ধানের চারারা করে হাহাকার,
শুধু একফোটা শুভ্র জলের তরে,
খালে-বিলে,সেখানে সব হায়েনার দখল,
এতোটুকু জলও দেয়না ওরা সোনালী ফসলের তরে।
চাতক পাখিরা তাকিয়ে উর্ধ্ব গগনে,
সাথে, আরও তাকিয়ে চাষা-চাষীর দলে,
এই এলো বুঝি আকাশ ভাঙ্গিয়া,
অপেক্ষমান বৃষ্টির ঝরনা ধারায়,ঝির-ঝিরিয়ে।
আজ নেইকো খাল আর নেইকো বিল,
আরও নেইকো কুয়ো,পুকুরে,
ঝাপিয়ে পড়তো বালক- বালিকারা,
ক্লান্ত, শ্রান্ত সেই অলস দুপুরে।
চৈত্র ছিলো ধরায় আগেও বহমান,
ছিলো দহনের পরিত্রাণ ও সাথে,
পুকুর,খাল বিল আর কূয়োগুলো হয়েছে ভরাট -দখল,
তাই হৃদয় দহনে প্রাণের আকুতি আজ ধুকছে পথে ঘাটে।।