Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুরের কচুয়ায় হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরের কচুয়ায় হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
গুজব হুজুগ সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন হোক দেশময়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা হেযবুত তওহীদের উদ্দেগ্যে গুজুব হুজুগ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টিতে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১ টায় কচুয়া পৌর সদর বাজারের রেদোয়ান হোটেল এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক তোফায়েল হোসেন মোহনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান শিশির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ফেসবুক সোশাল মিডিয়ায় মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন অপপ্রচারও আমার চোখে পড়েছে। হয়ত আজ আমি এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আশায় আমাকে নিয়েও অপপ্রচার শুরু হতে পারে। তবে আমি এতোটুকু বুঝতে পেরেছি ধর্মকে নিয়ে দেশে যারা গুজব হুজুগ সাম্প্রদায়িকতা চালিয়েছে সরকার তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে এবং হেযবুত তওহীদ ভালো কাজ করায় সরকার তাদেরকে নিষিদ্ধ করেনি বিদায় তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিন হেযবুত তওহীদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল কামনা করে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সহকারী সাহিত্য সম্পাদক রাকিব আল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক, সাবেব সভাপতি আলমগীর তালুকদার, প্রিয়তোষ পোদ্দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল জাব্বার বাহার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ মহিনউদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক জিসান আহম্মেদ নান্নু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহীম খলিল বাদলসহ প্রেসক্লাবের উল্লেখ জনক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সুধিজন ও কচুয়া উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ১৪ ই মার্চ নোয়াখালীতে গুজুব রটিয়ে মসজিদকে গীর্জা নির্মাণ আখ্যা দিয়ে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হত্যার বিবরণ তুলে ধরে অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক রাকিব আল হাসান বলেন, সেদিন নির্মাণাধীন মসজিদকে গীর্জা বলে গুজুব রটিয়ে দিয়ে মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিলি করে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে।এক পর্যায় তারা হামলা চালায়। দুজন সদস্যকে প্রচন্ড প্রহারের পর তাদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের চোখ উপড়ে নেয়। তারপর গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। পেট্রোল ঢেলে তাদের দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার আগে থেকেই সে স্থানীয় স্বার্থান্বেষি কুচক্রী মহল ও ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে উদ্যোগ নিলে এই মর্মান্তিক নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটতো না। এই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচানের আগে তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশীট দেয়া হয়। বহু আসামী আইনের আওতায় আসেনি। যারা এসেছে তারা রাজনৈতিক হযরানির ধুয়া তুলে সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, তারা আবারও হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মিথ্যাচার চালাচ্ছে ও হামলার উসকানি দেয়া আরাম্ভ করছে। বিশেষ করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিরাজমান শান্তিময় পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনি শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এরা যেকোনো ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে কেবল হেযবুত তওহীদই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।

সভার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সোনাইমুড়ীতে যেখানে গুজুব সন্ত্রাসীরা তান্ডবলীলা চালিয়ে ছিল, সেই ধ্বংসস্তুপের উপরেই বর্তমানে আমরা নির্মাণ করেছি “চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প।” সেই মসজিদটি এখন পুননির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে। আমরা হতোদ্যম হইনি, নিরাশ হইনি। আমরা মনে করি আমরা যদি সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে পারি, সমাজের কল্যাণমুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাই, তাহলে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কাজেই দেশ জুড়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের মালিকানাধীন ভূমি, পূজি ও মেধাকে একত্রিত করে আমরা বহু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

Powered by themekiller.com