Breaking News
Home / Breaking News / কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র স্বপনকে নিয়ে যা লিখলেন

কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র স্বপনকে নিয়ে যা লিখলেন

কচুয়া অফিস প্রধানঃ
চাঁদপুরের কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল আজিজ শাহীন পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনকে নিয়ে নিজ ফেসবুকে যা লিখলেন।

গত ৩রা মার্চ ২০২২ খ্রী. কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতৃত্বর সামনে আমায় নিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এবং কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি কে নিয়ে যে আপত্তি কর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই অনভিপ্রেত। কারণ মেয়র পদে থেকে যখন তখন যা তা যেমন করা যায় না এবং বলাও যায় না ! এটা হয়তো অল্প বয়সের কারণে এখনো যে ভাবে বুঝা, সে ভাবে হয়ে উঠে না।

প্রথমত কথা আমি যখন কচুয়া পৌর ছাএলীগের প্রথম কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি তখন আজকের মেয়র কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন পরে, যদিও ছাএলীগের সংবিধান অনুযায়ী বিবাহিতরা ছাএলীগের নেতা হতে পারে না। তখনকার সময়ে কি কারণে কেন ? এই পদে ছিলেন দায়িত্বশীল নেতারাই ভালো বলতে পারবে !

২০০১ পরবর্তী সময়ে সে যে কয়টা মামলার আসামি ছিলো আমার ভাগ্যেও দু’একটা মামলা বেশি হবে কমতো না! বরং বরাবরের মতো জনে জনের সাথে অশোভন আচরণের কারণে সেই দিন দেশে পর্যন্ত থাকতে সাহস পায়নি, আমি দেশেই অসহনীয় যন্ত্রণা সয়ে থেকেছি বরং সে যখন বিদেশ চলে যায় আমি আর আজকের ১০ নং ইউপি এর চেয়ারম্যান কবির ভাই এয়ারপোর্টে বিদায় দিয়ে সাফল্যের জন্য দোয়া করে আসি।

আমি যখন পৌর কাউন্সিলর (২০১১-২০১৫ খ্রী.) স্বপন তখন আওয়ামী স্বেচ্ছালীগের আহবায়ক সান্ত্বনা স্বরূপ পদ ! আজকের যে মেয়র পদে সমাসীন এতেও আমার সহায়তা না থাকলে হতে পারতো কি না! এটা কচুয়া পৌরবাসী ভালো বলতে পারবে, কারন ২০১৫ সালে আমিও মেয়র পদে লড়ে ছিলাম, নৌকার পাশ কনফার্ম করার লক্ষ্যে মাএ একদিন আগে,

নৌকা কে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে এসে নৌকার জন্য কাজ করি এতে তার ক্ষতি হয় নাই, বরং উপকার হয়েছে আশাকরি। এই বার আসা যাক কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতির বিষয়ে এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার কচুয়া উপজেলায় যে কয়টা আওয়ামী পরিবার কে মানুষ আওয়ামীলীগার হিসেবে জানে এবং চিনে তার মধ্যে সোহেল ভূইয়ার পরিবারও একটা।

তার চেয়ে বড় কথা কচুয়া পৌর সভার ইতিহাসে সোহেল ভূইয়ার একমাত্র চাচা আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ জাহিদ হোসেন দুলাল ভূইয়া কচুয়া পৌর সভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন, আর আট দশ জন নেতাকর্মীদের মতো এই স্বপনরাও বহু অনুকম্পা নিয়ে দিনাতিপাত করেছে ! মানুষ ভুলে যায় ভুলে যাবে কিন্তু স্বপনদের মতো ভুলে যাওয়া মানুষদের কি বলে ?

কোন ভাষা বললে ঠিক হবে আমি জানি না ! তার চেয়েও বড় কথা স্বপনদের জানা উচিত আওয়ামী যুবলীগ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আপত্তি তোলা কথা বলার অধিকার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রে কোন আওয়ামী যুবলীগের নেতাকে দেয় নাই। এটা অশোভন আচরণ মেয়র পদে থেকে বড্ড বেশি বেমানান মনে করি।

আমাদের কে নিয়ে কথা বলার আগে মেয়র পদের দায়িত্বের দিকে আরও বেশি নজর এবং সময় দেয়া উচিৎ মনে করি। পৌরসভার যে বেহাল দশা এই অবস্থা থেকে পৌরবাসী কে নিস্তার দেয়ার কোন খবর নাই বছর বছর পৌর ট্রেক্স আর পানির বিল বাড়ানোই মেয়রের কাজ নহে ! মনে রাখা দরকার কচুয়া পৌর এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ কোন সড়ক যাতায়াতের অবস্থায় নাই!

কচুয়া বাজারে এক পসলা বৃষ্টি হলে চলাচলের কোন অবস্থাই থাকে না, জলবায়ু তহবিলের অর্থ ক্ষমতার মোহে যেভাবে খুশি সে ভাবে বেহাত করাই শুধু মেয়রের কাজ হতে পারে না ! রাজস্ব খাত, উন্নয়ন খাতের টাকা পয়সা পছন্দের লোকদের দিয়ে বিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ায় মেয়রের কাজ হতে পারে না ! পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী এবং পৌরবাসীর কল্যানে আর মনোযোগী হয়ে কাজ করা উচিৎ। আজ যার বা যাদের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে ছেলে মানুষী করছে একদিন ওরা কেউ থাকবে না ! এটাই ইতিহাসের শিক্ষা, আমরা পালিয়ে যাবো না। দেখা হবে ইনশাআল্লাহ

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

ইকবাল আজিজ শাহীন
সাধারণ সম্পাদক
কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগ
কচুয়া চাঁদপুর।

Powered by themekiller.com