” হেমলতা ”
– রিটন মোস্তফা
এক’শো একটা পুরুষের ভোঁতা গন্ধ গায়
হেমলতা আকাশের তারায় আঁকে স্বপ্নটিকা
আরও একটা পুরুষ দুয়ারে দাঁড়ায়ে তার।
হেমলতা শব্দ খোঁজে বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে
রাতের হাড়কাপুনি ঠান্ডায় শিশির বিন্দুতে জীবন।
হেমলতা?
ওর চোখে ভাসে সস্তা মাদকের বুদবুদ
সমাজ সংসার পাদুকার নিচে দুমড়ে গুমড়ে ওঠে।
উলঙ্গ পুরুষটাকে মেলে দেয় তার অসার দেহ
ভাবতে থাকে, আর কত পুরুষ হলে তেবে তার
এই কপালের ভাঁজে উঁকি দেবে সেই সোনালি সূর্য?
এক ঠাঁই হেমলতা অন্ধ গোলির বাঁ পাশে
চলে গেছে নষ্ট পুরুষ ওর কাঁধে উষ্ণ দম ফেলে ফেল
আরও একটা পুরুষ চাই, আরও, আরও একটা।
হেমলতা ফুকতে থাকে সস্তা দামের ধুয় কাঠি
তীক্ষ্ণ নজরে খুঁজে চলে আরও একটা পুরুষ
হোক সে রিকশাওয়ালা, হোক ট্রাক ড্রাইভার বা
হোক সে পথভ্রষ্ট কোন বখে যাওয়া নষ্ট যুবক
এক জনমের পাপ কাঁধে তার, মেটাতে হবে না?
দিন সকালের আতঙ্কে আঁতকে ওঠে হেমলতা
বড্ড ভয় পায় সে দিনের আলো, দিনের শহর
দিনের ব্যস্ত কোলাহলের ফাঁকিবাজ এই নগর।
অন্ধকার চাই, অন্ধকার! সাত সাতটা সাথে পুরুষ
একেক পুরুষের নষ্ট শ্বাসপ্রশ্বাসে ওর শাপমোচন
এক জনমের পাপ ঘুচাতে, আরও কটা নষ্ট পুরুষ!
ভোরের পাখি ডেকে ওঠে কিচিরমিচর, উড়ে যায় দূরে
হাঁটু মুড়ে ডুকরে ওঠে হেমলতা, ভিজতে থাকে চোখ
ফিকে আলোর পূর্ব আকাশে চেয়ে কেঁদে ওঠে সে
হে ঈশ্বর “দিন কেন দিস এই অসময়ে, অকারণে তুই
যদি না পাপ আর নষ্ট পুরুষ কাটা পরে এই কপালে?”