Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

“আলো ফুটাই”
রচনায়: মোঃ আলমগীর হোসেন
০৪.০৩.২০২২ ইং।

আলো ফুটাই সংগঠনে
কে কে যাবি আয়;
মাগনা আলো দিতে দিতে
সূর্য ডুবে যায়।

আগে আসলে আগে পাবি,
বেশি পাবি সাথে;
চেষ্টা করেও সৌরশক্তি
পাবি না কেউ রাতে।

চেষ্টা করেও সময় গেলে
পাবি না সুদিন,
বধির লোকে শুনতে পায় না
মধুর সুরে বীন।

অন্ধ লোকে কালো ছাড়া
দেখতে পায় না রং,
না জেনেও বোকায় করে
অনেক জানার ঢং!

না খেলেও বুদ্ধিমানে
নেয় না হারাম টাকা,
অজ্ঞ হিংসুক অহংকারীর
মনটা থাকে বাঁকা।

আরো বেশি বাকা থাকে
লোভী লোকের চলা,
পরিশেষে লোক সমাজে
দুই কানে খায় মলা।

রিপুর পিছে না ছুটে যে
সরল পথে ছোটে;
এটা আমার, ওটা আমার
বলে না কো মোটে।

বিজ্ঞ মতে বক্র পথে
আলোর দেখা হয় না,
নিজের মাথা মগজ থেকে
ময়না কথা কয় না।

ময়না পাখি বলো দেখি,
জ্ঞানী বলে কারে?
ময়না বলে, কোন জ্ঞানী
দেখি না দরবারে।

জ্ঞানী কি আর দুধ না খেয়ে
মাদক কিনে খায়?
আলো ফুটাই সংগঠনে
কে কে যাবি আয়।

——————————————–

কথা রাখতে পারি নি
চৈতন্য কুমার বর্মন
০৪/৩/২০২২
****************************
ফাল্গুনকে দেখতাম স্কুলের পথে
তখন কতটুকুইবা বয়স হবে
কোকিলের কুহু রব শুনে
মালতী বলতো, ধরে দাও।
ওর কথা রাখতেই
গাছে চড়ে কতবার যে পা ভেঙেছি ।
ওর শুধু বায়না ছিল
শিমু্লফুল আনো, পলাশফুল আনো।
কৃষ্ণচূড়ার মগডালে উঠে ঐ ফুলটা পেড়ে দাও।
বলতো, এইখানে বই রাখো
আজ স্কুলে যেতে হবে না–
যদি যাও, চিরআড়ি।
সারাদিন সবুজের পথ বেয়ে কোথায় বেড়াতাম কি জানি।
কেন যে ভুলে যেতাম স্যারের বেতের বাড়ি
কেন যে লুকিয়ে বাড়ি ফিরে না খেয়ে শুয়ে পড়তাম।
কেন যে মা আমাকে মারতো
কেন যে মালতীকে মারতো ওর মা কিছুই জানতাম না।
শুধুই জানতাম মালতী আমার সঙ্গী
ওর কথা আমাকে রাখতেই হবে।
একদিন ফাল্গুনের সকালে
লাল শাড়ি পরে মালতী বললে,
ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে,
তুমি কাছে রাখবে না?
সেদিন আমি সজল চোখে তাকিয়েছিলাম
ওর কথা রাখতে পারি নি—
ও চিরআড়ি দিয়ে চলে গেছে !

——————————————-

#শিরোনাম_প্রত্যয়
#কলমে_মৃণাল_কান্তি_পণ্ডিত
#তারিখ_০৩_০৩_২০২২_ইং
****************
প্রত্যয় —- আমার অনুভবের পূর্বিতা; সুখের ধমনী,
আলোকবর্তিকায় জেগে ওঠা বন্দিত বিভাস সরণী।
দ্রঢ়ীয়ান চিত্তে আঁকা দেদীপ্যমান প্রমূর্ত ক্যানভাস,
রণ-ভূমের প্রমিত কাহিনীর কান্নাভেজা বিলপা-শ্বাস।

আমার প্রত্যয় দুর্লঙ্ঘ্য দুর্মর —- আব্রহ্ম পরিসীমা,
ভবিষ্যৎ গড়ার নির্বিশঙ্ক ইচ্ছেদের নিঃশর্ত দাড়িকমা।
মান অভিমানে গড়া বাস্তব জীবনের তন্ময় রানা,
রঙ বাহারী প্রাণের প্রশান্তির অনুপম দ্যোতনা।

প্রত্যয় আমার আকাঙ্ক্ষার অবগাহন; পূর্ণতার অনুরণন,
ভালোবাসার হৃদকাননে প্রস্ফুটিত গোলাপের সুঘ্রাণ রমন।
প্রত্যয় আমার সাফল্যে ভরা সহজাত জীবনের সুবাস,
এখানে জোৎস্নার বিভাজনে নেই যে কোনো দ্বন্দের আভাষ।

প্রত্যয় আমার মানবিক অধিকার; মূল্যবোধের নিবিড় আশ্বাস,
শত ক্লান্তির মাঝেও জেগে ওঠা আশা-প্রত্যাশার নিশ্চিত বিশ্বাস।
আমার প্রত্যয় তাই —- ভরসার নিঃশ্বাস; পূর্ণতার অঙ্গীকার,
ভালো থাকার ভালো রাখার গর্ভবীজ; সুখের পারাপার।

——————————————–

আমরা
গোলাম মোস্তফা
***************
অবশেষে চরিত্রটাকে আমরা দু উরুর মাঝে এনে ফেলেছি।
মঞ্চ কাপিয়ে যিনি মিথ্যেটাকে সত্যের মত রুপ দিতে চাইছেন,
আমরা শ্রোতারা যারা সেটা শুনে তালি বাজাচ্ছি,
জয়-ধ্বনি দিচ্ছি,
আমরা কেউ সামনের দিকে তাকাচ্ছি না।
আমরা ভয়াল – দুঃস্বপ্ন ভরা পরিণতির কথা,
নির্মম ভবিতব্য নিয়ে একবার ও ভাবছি না।
আমরা পরিণত মানুষেরা মনুষত্ব হারিয়েছি আর
অমানুষে পরিণত হয়ে গেছি।
যা শুনি তার উল্টো অর্থ করি।
যা দেখি তাতে নিজের স্বার্থ খুঁজি।
কিছু নগদ পকেটে না এলে তাতে বিরোধিতার গন্ধ খুজি।
নিজে যে দোষে দোষী সেই অপরাধে অন্যকে পিটিয়ে মারার অযুহাত খুজি।
আমাদের চারপাশে অসংখ্য অযোগ্য মানুষের ছড়াছড়ি।
অযোগ্যের ভীড়ে যোগ্যগুলো ভাগাড়ে গড়াগড়ি দিচ্ছে।
তারপরও সব দুর্ণিতী যেন আসন গেড়ে বসেছে।
একের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দিতে কসুর করিনা।
অন্যের সম্পদ যেন তেন প্রকারে নিজের করে নেয়ার মহোৎসবে যোগ দিয়েছি।
আমরা এতবেশি নীতিবাক্য আওড়াই
যা তা দেখে ইবলিস ও হার মেনে যাবে।
বাস্তবে অনৈতিক সব ধরনের কাজে আমাদের বুক একটুও কাপে না।
সব অনৈতিক কাজকে নিরাপদ করার নানান বাহানা তৈরি করি।
মুখে আল্লাহ ও রাসুল প্রেমিক,
কার্যত ধনসম্পদ ও দুনিয়া পরস্ত ক্ষমতা লোভী।
আমাদের দ্বিমুখী চরিত্রের কারণে শৈশবেই শিশুরা বিপদগামী।
আমরা বড়রা অন্যের অধিকার হরণ করি,
শিশুদের শেখাই গণতন্ত্রের ছবক।
বড়রা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষকে হাসপাতালে, কবরে পাঠাই।
শিশুদের সুরক্ষার জন্য মায়া কান্নায় ভেংগে পড়ি।
আমরা আল্লাহ – রাসুলের অনুসারি মুখে মুখে বাস্তবে নেতৃত্বের লোভ অমানুষের কাতারে নিয়ে গেছে।
চরিত্রের বড়াই করি সবার সামনে, অথচ শিশুরাও নিরাপদ নয়।
আহারে যে পাশ্চাত্য কে ঘৃনার চোখে দেখি, অথচ ন্যায় পরায়নতায় তাদের থেকে আমরা শত যোজন দুরে।
আমরা শিশুদের শেখাই নিজস্ব লেনে চলতে অথচ আমরা উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে রাস্তাটাই বন্ধ করে দিই।

——————————————-

Powered by themekiller.com