অবুঝ মন
সোনালী আদক
২৬/০২/২২
মনকে বোঝাই সেকি বোঝে, সে তো ভালোবাসার কাঙাল
বক্ষ জুড়ে নীরব প্রেমে ,পাই না কভু প্রিয়র নাগাল।
একটু ভালো থাকার তরেই, তোমায়তো বেছে ছিলাম
ভালোবাসার জুয়া খেলায়, হলাম নিজেই নিলাম।
ভুলভুলাইয়া নাট্যশালায়, আমি নই পাক্কা অভিনেত্রী
দোষে গুণে গুণান্বিত, আমি অন্ধকারের এক যাত্রি।
ভুলে ভরা অঙ্ক আমার, গরমিল হিসেবের খাতা
বারেবারে ভাগ্য চক্রে, পরীক্ষায় ফেলে বিধাতা।
শরীর ছুঁতে চাইনা আমি ,শুধু হৃদয়ের পরশ চাই
হাত বাড়িয়ে উদাসী মন, ভালোবাসার ছ্যাঁকা খাই।
একমুখী পারদের উচ্চচাপে, যখন বিষাক্ত এ ধরিত্রী
প্রেমের পিঠে চড়ে রচি, রূপকথার কাব্য দিবা রাত্রি।
মিথ্যে প্রণয় চাদরে জড়িয়ে, আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ফাঁদলে
খানিক বসন্ত শোধ দিলাম তোমায় ,নাহয় সুদে আসলে।
বোধহয় ভালো রাখার নামই, অকৃপণ ভালোবাসা
যতন করে গুছিয়ে রাখি, অনাহুত এক বুক আশা।
বুকের ঐ বাঁপাশে, হ্যাঁ ওইখানেতে আঘাত করোনা
ওখানে তোমার নীরব বাস, আমার থেকে কেড়োনা।
সুখের তরে হাতরে বেড়াই, ধোঁয়াশা ভালোবাসা
বিশ্বাসের প্রলেপ লাগাই, টুকরো টুকরো করা আশা।
সুখ যে ক্ষণস্থায়ী মেহমান, সে যে আসে আর পালায়
দুখ্য চিরস্থায়ী যতোই তাড়াই, কড়া নাড়ে দরজায়।
ভয়ঙ্কর আগুন কঠিন মোমকে,অনায়াসে তরল করে
নিজেই পুড়ে ভষ্ম হয়, কেবলি পরের সুখের তরে।
হায়রে অবুঝ মন একটু, ভালোবাসার তরে মরলি
আপন হাতে খুন করে মনটা, ফাঁসি কাঠে চড়লি।