Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

রোদের গল্প

কিছু রোদ জানালার জ্যামিতিক বর্গক্ষেত্র
পলাশ পলাশ ফিসফিস যত্রতত্র
মৌটুসী জিভ ভেঙ্গায় আম শাখায়
বেলুনওয়ালা ক্ষিধের জন্য নিঃশ্বাস বিলায়
রেজিস্টার প্রেস্ক্রিপশন আইন মেনেই
তারা রাতে কার্বন-ডাই -অক্সাইড
আঙুলে আঙুল গলাগলি তবু বিশ্বস্ত বীতরাগ
বিন্যস্ত সৌজন্য আবির অনুরাগ
বিশ্বাসী ঠোঁট নিঃশ্বাসে চায় রাগকাল
বেলুন চুপসে গেলে সব বেহাল।

(কলকাতা)

©Sonali Mandal Aich

——————————————–
সন্ধ্যার কালো তিল
””””””””””””
মুতাকাব্বির মাসুদ
“”””””””””

এখানে আর নয়
এখানে ভিন্ন স্বাদের নষ্ট সুখের খেলা
সন্ধ্যে হয়ে এলো
এখন প্রেমের কাব্য পাঠের সময়
চলো চুম্বনের পলাশ বনে যাই
যেখানে পিউলিরা পলাশের বুকে
ঠোঁট গুঁজে সান্ধ্য পরাগ মাখে গায়
দূরে সাদা শাপলার বিল-সাদা সাদা সারস
সাদা আকাশের নীল আবীর নিয়ে খেলে
সন্ধ্যার কালো তিলে প্রেমের কাব্য লিখে
উড়িয়ে দেয় সাদা মুড়ির মতো
নক্ষত্রের তারাবাতি শরীরে
দেখবে এসো কেমন করে
সোহাগি বিকেল আদুরে গোধূলির ধুলো মেখে
লুটিয়ে পড়ে – পশ্চিমে গোলাপি চন্দন বিভায়
২৪-০২- ২০২২

——————————————–

কবিতা আসে না মাথায়
© পাল প্রশান্ত

একটি কবিতার জন্য অপেক্ষায় অনেকদিন
কলমের কালি যায় শুকিয়ে,
ভালোবাসার প্রহর গুণতে গুণতে
প্রদীপের সলতে জ্বলতে জ্বলতে নিঃশেষ
তবু কবিতা আসেনি মনে!

রথতলার সবুজ চত্বর
ফসলের মাঠ, দিগন্ত জোড়া খোলা আকাশ,
উন্মুক্ত প্রান্তর, বাবুদের সারি সারি বাগান,
বৈঁচি লতায় আটকে যায় চোখ
তবুও কবিতা আসে না মাথায়!

নদীর পাড়েই চৈত্রের চড়ক
কাছেই একটি তমাল, কালের সাক্ষী বহুকাল
তারই তলায় মাঝে সাজে অবসর,
ফুরফুরে হাওয়ায় অন্য কিছু ঘোরে
তবু কবিতা আসে না মাথায়!

নদীর ওপারে একটি গুচ্ছ গ্রাম
বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াত
মধু ময়রা মিষ্টি বানাই, গন্ধে ভরপুর!
সম্পর্কে জোড়াতালি
এপার ওপার একাকার!

একটি পাখি ভালোবাসার লাল ঠোঁটে
প্রতীক্ষার প্রহরে আছে দাঁড়িয়ে, আছে
একজোড়া পায়রা করে বাকবাকুম,
বিকেল ফুরিয়ে যায় আসন্ন সন্ধ্যার কাছে
তবুও কবিতা আসে না মাথায়!

গোধূলির রঙ মেখে জল নেয় কেউ কেউ
চোখ ঘোরে ফেরে সেইখানে,
যেখানে নরম হাতে ওঠে জলের ঢেউ
তখন কবিতার চরণ পড়ে থাকে কাদায়
খাতায় আঁচড় কাটে না আর।
২৫/০২/২০২২

——————————————-

পরিণতি
-আব্দুল কুদ্দুস রবি

এমন কিছু মানুষ দেখি অতি অহংকারী,
ঘেঁষলে কাছে খবর আছে বিরাট সে নামধারী!
বলবে সে তো অবলীলায়,”আমার বড় বাড়ি!
চাইলেই কী কুলি-তাঁতির পাশে বসতে পারি?”

“আমার গায়ে লক্ষ টাকার দামি পোশাক পরা,
ছেড়া কাপড় তোমার গায়ে ঘামের গন্ধে ভরা।”
“গরীব হলো আমার কাছে শুধু ঘাটের মরা,
কোন প্রয়োজন অসহায়ের সাথে পিরিত করা?”

“অনেক দামি লোকটা আমি টুকটুকে লাল গোরা,
অথচ তুই দেখতে কালো তাঁর উপরে খোঁড়া।”
“তোকেই আমি কিনতে পারি ব্যাংকে এতো টাকা,
ভাবিনি কাল পথে আমায় পিষবে গাড়ির চাকা!”

“মহাসড়কে রইলো পড়ে আমার দেহ খাঁচা,
হলো না আর এই জগতে দীর্ঘ সময় বাঁচা!”
“চাকার তলে থেঁতলে গেলো ওই আমিটার মাথা,
থেমে গেলো চিরতরে অহংকারী গাথা!”

“কুলি-তাঁতির মতো করেই আমায় গোসল দিয়ে,
থানের টুকরো পরিয়ে আজ যাচ্ছো কোথায় নিয়ে?
টাকাগুলো দাওনা সাথে দামি পোশাক ঘরে,
নরম একটা দাওনা গদি শক্ত ওই কবরে!”
[রচনাকালঃ-২৫শে ফেব্রুয়ারি,২০২২ইং]

——————————————

Powered by themekiller.com