Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

একুশ নিয়ে
সিরাজুল ইসলাম মুন্টু
তাং ১৮/০২/২০২২ইং

একুশ নিয়ে গল্প আমার
একুশ নিয়ে গান,
একুশ দিলো মায়ে ভাষা
ভাইয়ের অবদান।

একুশ নিয়ে কাব্য করে
বাংলার যত কবি,
একুশ নিয়ে শিল্পীরা আঁকে
মনের মত ছবি।

একুশ দিলো মায়ের ভাষা
দিলো অহংকার,
বাংলা হলো মাতৃভাষা
ভাই হারাবার পর।

একুশ নিয়ে খুশি আমরা
মাকে মা বলে ডাকি,
একুশ আছে বলে ই গায়
বনে হাজার পাখি।

একুশ নিয়ে সারাজীবন
উঁচু করি মাথা,
কোন দিনও ভুলে যাবোনা
ভাই হারানোর ব্যথা।

একুশ এলে প্রভাত ফেরীতে
আমার সবাই যাই,
একুশ এলে মনের মাঝে
খুশির ছোঁয়া পাই।

——————————————

#জীবনানন্দ_দাশের_জন্মদিনে_শ্রদ্ধার্ঘ্য
#শিরোনাম: প্রতীক্ষায় জীবনানন্দ
কলমে: শ্যামল কুমার মিশ্র
রচনাকাল: ১৭-২-২০২২
১৮-০২-২০২২

বনলতা! তোমায় আজো খুঁজে মরি
ইছামতির বাঁকে কিংবা কেন্দুলির মেলায়
পার্কস্ট্রিট কিংবা হাথরসের প্রান্তরে
তোমার নরম চোখের দিকে চেয়ে
অন্তহীন একটা সময় হারিয়ে যায়
চোখ দুটো জলে ভরে ওঠে
সিংহল সুমাত্রার পথে হাঁটতে হাঁটতে
দেখা হয় নাটোরের বনলতা সাথে
শ্রাবস্তীর কারুমাখা মুখখানি তুলে প্রশ্ন করে—ভালো আছো তো?

বনলতা! তোমার দু চোখে কি ছিল জানি না
ক্লান্ত এক প্রাণ খুঁজে পেয়েছিল ক্ষণিকের শান্তি নীড় হারা পাখি পেয়েছিল প্রাণের আরাম
বুনোহাঁস উড়ে যায়
তিতিরের ডাকে যখন সন্ধ্যা নামে
ক্লান্ত আমি খুঁজে ফিরি উপোষী বনলতার রূপসী রূপ

আমার সমস্ত অন্তরাত্মা হাহাকার করে ওঠে
আমি চিৎকার করে উঠি— তুমি ফিরে এসো বনলতা!
জীবনানন্দ আজো তোমার প্রতীক্ষায়…

——————————————-

মানে না মানা (☹️)
জাফর ইদ্রিস

আঁখি জলের ভাষা ঝরে-শ্রাবণ ধারায়
দাঁড়ায়ে দুয়ারে-মলিন বদনে বলে,
না, চলে যেও-না।

ফাগুন শেষে কোকিল যেমন-ডাকে মৃদু
করুণ লয়ে,বিনয়ে বলে বারে-
না,চলে যে-ও-না।

ঘর থেকে দ্রুত পায়ে-বাড়াতে পা-কর্ম-
পানে, ফিরে দেখি আঙ্গিনাতে–
দাঁড়ায়ে সমান্তরালে,বলে-
না,চলে যেও-না।

বলি যত ফিরে যেতে, না ফিরে ঘর মুখে
না’শোনার ভাণ করে, বলে-
না,চলে যেও-না।

আঁখি জলের ভাষা যেন—- শ্রাবণ ধারা-
দাঁড়ায়ে সমান্তরালে, ঘর ছেড়ে-
আঙ্গিনাতে, ইশারাতে বলে –
না,চলে যেও-না।

জাফর ইদ্রিস
বাসাবো, ঢাকা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২


——————————————-

মাতৃভাষা
তপন মাইতি

মিছিলের ওপর যারা চালিয়েছিল মেশিন গান
শিমুল পলাশের মতো ঝরে পড়ল প্রতিবাদ ভাষা
আমার মুকুল সজনে ফুল বলেছিল
সবুজ মাঠের ঠিক মাঝবরাবর উঠছে টকটকে লাল সূর্য
আমাদের মাতৃভাষা সেদিন নির্বাসিত হয় নি
ইতিহাস খসখস করে লিখে নিল পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ভাষা
কত ভাসান হল
কত শাঁখা পলা ভাঙল
কত বোনের ভাইফোঁটা থেকে বঞ্চিত হল
কত ভাই এর ষষ্টি পুজো হয়ে গেল
কত প্রেমিকার হৃদয় ভাঙল
কত নারীর ওড়নায় অত্যাচারের দাগ
ইতিহাস সেই সময় লিখে নিল একুশে ফেব্রুয়ারি
তোমাদের ভাষায় তোমরা কথা বলবে
কার কী আছে তাতে
আমরা তো বাধা দিতে যায়নি
তোমাদের কোনটা জীবনের আর কোনটা জীবিকার!
যে ভাষায় লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দ শঙ্খ সুনীল
শক্তি শীর্ষেন্দু নির্মলেন্দু হুমায়ুন আহমেদ ।

আমার ভুলতে না পারার একটা দিন আছে
আমার স্মরণ করার মতো একুশে ফেব্রুয়ারি আছে
আমার একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আছে
আমার একটি সুমধুর বাংলা দেশ আছে

চলে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো
কথাটা বলে যাচ্ছি ‘মাটি আমার মা বাংলা আমার ভাষা
গরীব ঘরে বাউল ভাটিয়ালি বাংলা শব্দের চাষা।


——————————————-

Powered by themekiller.com