Breaking News
Home / Breaking News / মতলব কলাদী হরিসভায় কালী পূজায় ব্যাপক আয়োজন

মতলব কলাদী হরিসভায় কালী পূজায় ব্যাপক আয়োজন

মতলব দক্ষিন অফিস : হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা। আর বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। আগামী ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার শ্রী শ্রী কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রী শ্রী কালী পূজা উপলক্ষে মতলব পৌরসভার কলাদী হরিসভায় ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। কলাদী গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বী যুব সমাজের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ব্যয়বহুলভাবে শ্রী শ্রী কালী পূজা উদযাপন করা হবে। মন্দিরটিতে সাজ সাজ রব। সাজিয়েছে মনের আনন্দে পূজারীরা। পূজো উপলক্ষে আয়োজন করেছে ২ দিন ব্যাপী আরতি ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। কলাদী হরিসভা কালী মন্দির কমিটির পক্ষে পূজারী পঙ্কজ সাহা, রাজিব সাহা, জগন্নাথ সাহা, টিটু সাহা, জয়ন্ত সাহা, অপু সাহা, সৈকত সাহা, রনি ঘোষ, নিলয় সাহা, তপু বণিক, পঙ্কজ, আনন্দ সরকার, সীমান্ত সাহা, সঞ্জয় বণিক, তন্ময় পাল, জয়, প্রিয়াস ঘোষ, সবুজ চক্রবর্তী, অর্জুন রায়, তন্ময় সাহা, পিয়াল বণিক, গোপাল বণিক, প্রণয় সরকার, নিপু সাহা, দীপ্ত রায়, সীমান্ত সাহা, প্রশান্ত সাহাসহ অসংখ্য পূজারীরা জানায়, এবার আমরা ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে পূজা উদযাপন করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পূজা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সর্বত্র হিন্দু সম্প্রদায় রাতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কালী পূজা উদ্যাপন করবে। এ দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্বর্গীয় পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশ্যে প্রতিটি বাড়ি-ঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন। নারীকে মাতৃরূপে পূজা করা তথা নারীকে সর্বদা পূজনীয় শক্তিরূপে ভূষিত করা সনাতন শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। ‘সনাতন’ শব্দ মানে যার আদি ও অন্ত নেই, তেমনি জগতের আদি ধর্মশাস্ত্রও সনাতন শাস্ত্র। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ‘ওম’ শব্দে একে একাত্ম ত্রিমূর্তি। এই ত্রিমূর্তি বিশ্বব্রহ্মা-ের সৃষ্টিকর্তা, জগতের প্রাণের সঞ্চারক, ‘আদ্যাশক্তি’ দেবীরূপিনী ত্রিমূর্তির সম্মিলিত প্রকৃতি রূপ। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যমা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী। দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা ম-পে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তকসহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি, মাছ ও মাংস উৎসর্গ করা হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এ কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার শতাধিক মন্দিরে শ্রী শ্রী কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

Powered by themekiller.com