কৃষকের গর্জন
সানোয়ার হোসেন
দুর গগনে নামছে সন্ধ্যা
পাখিরা স্তব্ধ বাঁধে নীড়ে।
তবু কাস্তে চালায় কৃষান
ফিরে না তাহার ঘরে।
স্বপ্নলোকে হাহাকার বুক
কে বুঝে সে ভাষা?
মাঠ জুড়ে শষ্য হসে
ক্ষুধায় কাঁদে চাষা।
রোদে পুড়ছে কৃষাণ,
পেটে পুড়ছে কৃষাণি,
জগত জুড়ে চলছে জুলুম
শোষকের হৃদয় বানী।
ভাই, আর কত কাল
চলবে এমনই অবিচার?
যে দেবে খাবারের জন্ম
মিলবে না-কি তার আহার?
আমরা কৃষক কৃষাণি,
তবু যে থাকি উপবাস
আমরা ফসল ফলায়
নইতো কারো দাস।
তবে কেন সইবো বলো
তোমাদের অত্যাচার?
না না না আর তো নয়
কাস্তে হাতেই রুখব এবার।
আসুক ঝড় উঠুক তুফান
আসুক ফেরাউন নোমরুদ।
কাস্তে হাতে করব জবেহ
ভীতু নই আমি কৃষান।
আজ যদি আসে স্রষ্টা
দেয় যদি তাতে বাধা।
তবে তার বুকে করবো আঘাত
তাতে করবো না কোনো দ্বিধা।
বহুকাল বহু যুগ ধরে দেখেছি
স্রষ্টা হয়েছে তোমাদের বন্ধু।
আমরা শুধুই কাঁদি স্রষ্টা স্রষ্টা বলে
মিছেই খুঁজি সুখের সিন্ধু।