Breaking News
Home / Uncategorized / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক শব্দনগরের দৈনিক সেরা কবিতা

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক শব্দনগরের দৈনিক সেরা কবিতা

গদ্য কবিতা”” প্রবাস যাত্রা “”
রাশেদ সরদার
তারিখ :০১/০২/২০২২

ছিঁড়ে যেতে হচ্ছে আজ মায়ার বাঁধন।
কর্মের আাশায় যাচ্ছি দূর প্রবাসে।

মা-বাবা, আত্মীয়, স্বজন,
বন্ধু বান্ধবদেরকে ছেড়ে
যাচ্ছি একা হয়ে ।

মা যে আমার ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে কাঁদে।
কবে ফিরে আসবি তুই আমার বুকে খোকা?

বাবা যে কাঁদতে পারে না, বুকটি তার যাচ্ছে ফেটে।

বন্ধু-বান্ধব কেঁদে-কেঁদে
আমায় জড়িয়ে ধরে,
বলে– কবে ফিরে আসবি বন্ধু ।

সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে
কর্মের জন্য চলছি আমি দূর প্রবাসে একা ।

আমি কি জানি, কবে ফিরবো আমি?
হায় চলে যাচ্ছি আমি।
বেঁচে ফিরলে আবার হবে দেখা।

———————————-
“যে এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে
তোমার সামনে দাঁড়ায়
তাকে নয়,
বরং তাকেই ভালোবেসো

যে একবার তোমার সামনে দাঁড়াতে
এক আকাশ দুঃস্বপ্নের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করেছে প্রতিনিয়ত…….

আর এটাই হবে তোমার শেষ আশ্রয়
যে তোমাকে তার নিজের
সম্মানের চেয়েও দামী মনে করে।

তাকেই বন্ধু বানাও
যে নিজেই গাছ হয়ে
তোমার উপরে ছায়া ছড়িয়ে দেয়”।🌹

Md Aabu Mushaiyeeb

——————————-
শিরোনাম – মানুষ হতে পারিনি
কলমে – রাজেশ কবিরাজ
তারিখ – 01/02/2022

মানুষ গুলো বড় অসহায়,
কষ্ট পেলে খোলা আকাশের
নিচে বসে থাকতে দেখা যায় ;
আবার কাউকে জাপটে ধ’রে –
তারা নতুন করে উঠে দাঁড়ায় ।
মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন
সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে,
আবার ক্লান্ত শরীরে পায়ে হেঁটে
ফিরে আসে তার আপন ঘরে ।
আমরা মানুষ হয়েও মানুষ
হতে পারি নি কোনদিন,
কিছু না কিছু ক্ষোভ থেকে গেছে চিরদিন !
কোনদিন হতে পারেনি স্বাধীন ।
মানুষ গুলো দেখা যায় বোবার মত,
নিঃশব্দে বয়ে বেড়ায় তাদের বুকের ক্ষত ।
মানুষ গুলো দেখতে ভিন্ন রকম হলেও
‘ সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ‘
বাণীটি যেমন সত্য !
আমাদের ভিতরে নেই সেই –
‘ মান আর হুশ ‘ আমরা ব্যর্থ ;
আমরা চিরকাল দেখি নিজের স্বার্থ ।
রক্তে-মাংসে আমরা মানুষ, আমরা জানি !
কিন্তু আমাদের ভিতরে’র মানুষটাকে
কোনদিন জাগিয়ে তুলতে পারিনি ।
আমরা মানুষ হয়েও মানুষ –
হতে পারিনি কোনদিন,
আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও –
ধর্মের ভেদাভেদে এখনো আমরা পরাধীন ।

———————————-
#প্রেম_এক_মৃত্যু_সুধা

একদিন রোদ মাতাল দুপুর ছিল
ছিল, ভোরের বিহ্বল বাতাস,
তোমার চোখ আবৃত্তি করতাম অনায়াসে
এখন চোখ ভেঁজায় দীর্ঘশ্বাস।

জ্যোতির্ময় জ্যোৎস্নার ভেতর হেঁটে গেছি
বেভুল সময়ে,
অন্ধকার খেলায় মেতেছি
নিষিদ্ধ রাত্রির জানালা খুলে দিয়ে।

আবেগের প্লাবনে ভেসে অঙ্গীকার ছিল ;
অক্ষমতা হারিয়ে,
পৌঁছে যাবার ব্যস্ততা ভুলে যাবো
গন্তব্যে পৌঁছে গিয়ে।

পাখিদের উড়ালের ভাষা থেকে শিখে নিয়ে
অন্য হৃদয়ে বিচরনের স্বাধীনতা,
স্মৃতির আয়না কালো দাগে ভরে দিয়েছে
নিয়তির অকল্পিত নির্মমতা।

একদিন বুকের ভেতর বয়ে যেত
গোলাপী বাতাস,
ঠিক সন্ধ্যা বেলায় তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে বারান্দায়
বাঁদুড় আঁধারে আজ অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘশ্বাস।

কেউ জেগে নেই যখন, তখন দীর্ঘ চিঠিখানি
লিখেছি তোমার নামে,
তোমার কর্পোরেট প্রেমের দ্ব্যার্থক উচ্চারনে
আজন্ম সে চিঠি বন্দী নীল খামে।

একাকীত্বে একাকার প্রেমজ সংসার আমার,
কষ্টেরা পরজীবী, প্রমত্ত হৃদয়ে বাঁধে সংসার।

মেঘের মেয়েরা নামে হিজল উঠোনে,
ভেজাতে তোমায় নোনাজল নামে চোখের কোনে।

রোদেলা বিকেলের নিমছায়া ভুলিয়ে রাখে
ডাকিনীর মায়া ;
মধুকণ্ঠীর মায়াজালে ডাকবাক্স তবু চিঠিভরা,
ঝরা পাপড়ি – ঝরা পালকের গানে
সাজানো বসুন্ধরা।

একদিন কুহু কামে বুঁদ হয়ে বুঝেছি
মেঘের সংলাপ,
আজ ধূলি রেখায় দিক চিহৃহীন
আঁধারের প্রহরী প্রেমের প্রলাপ।

চোখে চোখ রেখে কথা বলি বিশ্বাসহীনতায়,
নারীর আজ সাধ্য কি সন্যাসীর ঘুম ভাঙায়।

ঘুমের নিমগ্নতায় এক জনমে মিটবেনা হয়ত
ভালবাসার ক্ষুধা,
কঁ’ফোটা নোনাজলে ভেজা স্মৃতির মমি শুয়ে
ক্ষুধার্ত কবরে ;
পান করে অনন্ত মৃত্যুর সুধা।।

— অরণ্য আন্ওয়ার।

————————————–

Powered by themekiller.com