চাঁদপুর (কচুয়া) প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন।
বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যানবাহনগুলো ঢাকা যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসাবে চলাচল করে আসছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলো ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কও জনপথ বিভাগের অধীনে ৪২ কিলোমিটার এ সড়কের কচুয়া উপজেলার উত্তর সীমান্তের বারৈয়ারা থেকে কচুয়া সদর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের গর্ত। কোনো কোনো স্থানের গর্ত পুকুরসম রূপ ধারণ করেছে।
এ ছাড়া পুকুর ও খাল অংশে কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশের অংশ দেবে গেছে। দেবে যাওয়া বিভিন্ন অংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হচ্ছে— সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরসংলগ্ন পোদ্দার পুকুরপাড়, কলাকোপা ভূঁইয়া প্রজেক্টসংলগ্ন, সাজিরপাড় মসজিদসংলগ্ন, তুলতুলির মোড় ও বাইছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়ক অংশ।
সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরসংলগ্নে উভয় পাশে (পশ্চিম পাশে পুকুর ও পূর্ব পাশে খাল) প্রায় ৫০ ফুট সড়ক দেবে যাওয়া ছাড়াও প্রায় ২০০ গজ সড়কের খুবই বেহাল দশা। এ বেহাল দশা ও দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের ঝুঁকি এড়াতে ১২টি বাঁক সরলীকরণ, চারটি কালভার্ট ও একটি ব্রিজসহ সড়ক নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বে ২৫ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সড়ক পাকাকরণের দুই বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা।
সড়ক নিয়মিত যাতায়াতকারী ও গাড়িচালকরা জানান, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের পিজ উঠে গিয়ে স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না গাড়িগুলো। শিগগিরই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও সৃষ্টি হওয়া গর্ত মেরামত করা না হলে এ সড়কধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সড়কের দুই পাশের প্রশস্ততা বৃদ্ধি ও চার লেনে উন্নতীকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গৌরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ রাস্তা মেরামতের কাজের বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী শামসুজজোহা মুঠোফোনে জানান, ভাঙা অংশের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অচিরেই যাত্রীদের সমস্যা লাগব হবে। স্থানীয়রা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তার মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে বলেও জানান তিনি।