Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা চার কবির কবিতা

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা চার কবির কবিতা


১…
তারিখঃ-13/01/22
কবিতাঃ-মানুষ চেনা
কলমেঃ-পূর্ণ দে

যে পাখি খাঁচায় মানতে চায়না পোষ
অকারণে খুঁজতে যেওনা তার দোষ।
সুযোগ পেলেই সে তো যাবেই উড়ে
শূন্য খাঁচা শুধুই শূন্য থাকবে পড়ে।
জোর করে দখল করতে চাইলে কারো মন
যে কোনো সময় ঘটতে পারে অঘটন।
কেউ কারো মুখের কথায় হয় সন্তুষ্ট
কেউ আবার সেই কথা শুনে হয় মহারুষ্ট।
আগে থেকে কোনো কিছুই যায় না বোঝা
তবু কেউ কর্নপাত করেনা কারো কোনো বাধা।
কেউ অন্যের দৃষ্টিতে হয়ে যায় খুব খারাপ
কেউ সারাজীবন ধরে করতে থাকে অনুতাপ।
বাইরে থেকে এতো সহজ নয় মানুষ চেনা
যতই থাকনা কেন তোমার বিচার বিবেচনা।
——————–

২…
** ছেঁড়া পাতার স্তুপ ***
ইব্রাহিম সেখ,রাজারামপুর, মুর্শিদাবাদ (পঃব)

স্বপ্নের ছেঁড়া পাতাগুলি জমে আছে
হৃদয়ের কাছে,জমেছে গুমোট ব্যথা,
কত কথার লতা -দিয়েছে বারতা নিশিদিন,
শুধু দেখা এক ঝলক, পড়েনি পলক-
চোখের পাতার,কত লেখা হৃদয় খাতার–
কেটেছে রাতের পোকা,হয়েছে বিলীন!
কেন যে এমন করে– পুড়ছে হৃদয়!
ভোরের বাতাসে– সকালের আকাশে
কেন যে ফেকাসে সূর্য উদয়!
এক চিলতে ফাগুন জ্বালিয়ে আগুন
কোথায় হারাল কোন মরু প্রান্তরে!
শুকাল পলাশ, পুড়ল আকাশ —
গোধূলির ধূলিকণা হয়ে আনমনা
আশার স্বপ্নিল সূর্য ডুবাল অন্তরে!
শীতের শেষে বসন্ত এসে বাজাল বাঁশি,
কোথায় উর্বশী, বাজেনা নুপুর
দূর হতে দূর — কোথা সেই সুর!
যে সুরে তুমি পরিয়েছিলে প্রণয় ফাঁশি।
দলুদ পাতার স্তুপে নিরবধি নিশ্চুপে
শুধু একাকী উষ্ণ আঁখি জলে ভাসি!

রচনাকাল ( ২৮ শে পৌষ ১৪২৮ সাল)


———————-
৩…
বীরাঙ্গনা সমাচার
ডা. মুহসিনা
(১৩/০১/২০২২)

বীরাঙ্গনা শব্দটা শুনলেই
বুকের মধ্যে একাত্তর জেগে উঠে!
গোলাগুলি, আগুন, বুলেট, বেয়নেট
সারিবদ্ধ লাশ,
কোমড়ে রশি বাধা লাশ
কুকুরে আধ খাওয়া লাশ,
মাথা বিহীন লাশ
হাত বিহীন লাশ,
এফোড় ওফোড় ঝাঁঝরা লাশ!
গাছের সাথে বাধা লাশ,
পানিতে ভাসমান লাশ
যুবকের লাশ, বৃদ্ধর লাশ,
বৃদ্ধার লাশ, শিশুর লাশ,
যুবতীর লাশ, দাদার লাশ, দাদীর লাশ,
শুধু রক্ত আর লাশ
শুধু আতঙ্ক আর নির্ঘুম রাত
তার মাঝে লাশের পাহাড় ডিঙিয়ে
হেটে আসে এক লাশ
বীরাঙ্গনার লাশ।
সব লাশ পচে গেলো
বিলের ধারে ঝিলের ধারে
বধ্যভূমিতে, মজা পুকুরে
শুধু পচাগলা লাশ হয়ে ঘুরে বীরাঙ্গনা!

পঞ্চাশ বছর পরে
আজ সে প্রশ্ন করে,
স্বাধীন দেশে যারা ধর্ষিত হয়
স্বজাতির হাতে
তারে তোমরা কি খেতাব দাও?
হে আমার জাতি,
এমন কি কথা ছিলো?
কোনোরকম যুদ্ধ ছাড়াই লাশ, রক্ত,
হত্যা, গুম, খুন, রক্ত,
খেতাব আর ভাতা ছাড়া বীরাঙ্গনা!

কার জন্য ছিলো এ আত্মদান?
ফিরিয়ে দাও পঞ্চাশ বছর
শহীদের বলিদান!
আবার একটা যুদ্ধ হোক
বাছাই করে পিষে মারি
ঘরে পোষা বিভীষণ!
——————

৪….
পৌষের শেষে আষাঢ়ের বৃষ্টি

জাকিরুল ইসলাম / জয়পুরহাট সদর।
তারিখ -১৩/০১-২০২২

পৌষের শেষে আষাঢ়ের বৃষ্টি
বৃষ্টিতে ফসল কৃষকের তুষ্টি।

পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা
বৃষ্টিতে জুমির বাড়ে আর্দ্রতা।

পৌষ-মাঘের হঠাৎ বৃষ্টি
নতুন ফসলের ফলন মিষ্টি।

পৌষের বৃষ্টিতে ধূলিকণা নাকাল
গরুর নিয়ে মাঠে রাখাল।

রাখাল গাইছে রাখালি গান
গানে চাষীদের জুড়ায় প্রাণ।

গানের মাঝে করে স্বরণ
বিধাতা সৃষ্টি বৃষ্টি বরণ।

হঠাৎ বজ্রপাতে কৃষকের মরণ
ফসল উৎপাদনে দিয়েছে জীবন।

এ জীবনের ক্ষয় নাহি হবে
পরপারে আল্লাহ মূল্য দিবে।

বেলআমলা,জয়পুরহাট, বাংলাদেশ।

Powered by themekiller.com