Breaking News
Home / Breaking News / অমিক্রণ। সেরে ওঠার পরেও কি আক্রান্ত হতে পারেন?

অমিক্রণ। সেরে ওঠার পরেও কি আক্রান্ত হতে পারেন?

অনলাইন ডেস্কঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের যে কোনও ভ্যারিয়েন্টেই আনুষ আক্রান্ত হোন না কেন, পুনরায় আক্রমণের সম্ভাবনা বেশ কম। আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির ক্ষেত্রেও সেই প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে। শতাংশের বিচারে তা মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাত্‍ একই ভ্যারিয়েন্টে মানুষ দুবার আক্রান্ত হয়েছেন, এরকম হার খুবই কম। আর যদি কেউ আক্রান্ত হয়েও থাকেন, তবে তা অন্তত ৬ থেকে ৯ মাস পরে। ততদিন পর্যন্ত শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা যে কোনও ভ্যারিয়েন্টকেই আটকে রাখার চেষ্টা করে। দেখা গিয়েছে, Sars Cov1-এ যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই Sars Cov2-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছিলেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকদের মতে, শরীরের মধ্যে একবার অ্যান্টিবডি তৈরি হলে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমে যায়। এমনকী বেশ কিছু মাস পরে যদি অ্যান্টিবডির সক্রিয়তা কমে আসে, সেক্ষেত্রেও শরীর নিজের মতো করে প্রতিরোধ-ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় শরীরের মধ্যে বেশ কিছু ‘মেমরি সেল’ তৈরি হয়। যারা কিনা আগের ভাইরাসের স্মৃতি বা লক্ষ্মণ ধরে রাখে। যখন নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট শরীরে ঢোকার চেষ্টা করে, তখন এই মেমরি সেলগুলো সক্রিয় হয়ে শরীরকে নয়া বিপদ সম্পর্কে জানান দিতে থাকে। আর সেইমতো সেজে ওঠে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এই স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাই রক্ষাকবচ। যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণ থেকেই তা শরীরকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এবং সেই কারণেই একই ভ্যারিয়েন্টে দুবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বা নতুন ভ্যারিয়েন্টে কাবু হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশ কমে যায়।

একই কথা প্রযোজ্য ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও। তবে, যেহেতু ওমিক্রনের সংক্রমণ সবে শীর্ষে পৌঁছাচ্ছে, তাই এখনই পুনরায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবু শরীরের এই স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই বলা যায়, ওমিক্রনের থাবা দ্বিতীয়বার অন্তত বেশি মাত্রায় পড়বে না। ওমিক্রন ছোঁয়াচে ঠিকই, তবে যত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তত দ্রুত বাড়ছে সুস্থতার হারও। সেক্ষেত্রে একই সঙ্গে বহু মানুষের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো রসদ তৈরি হচ্ছে। এই স্বাভাবিক অ্যান্টিবডি সামগ্রিক ভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে কোভিডের যে কোনও ভ্যারিয়েন্টকেই তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তার উপর টিকাকরণ প্রক্রিয়া ও বুস্টার ডোজ দেওয়া তো জারি আছেই। সব মিলিয়ে প্রথমবার ওমিক্রন মানুষকে ব্যাপক ভাবে কাবু করলেও, বরাবর যে তার প্রাবল্য একই রকম হবে না, এমনটা আশা করাই যায়।

Powered by themekiller.com