Breaking News
Home / Breaking News / কবি মোঃ বিনয় আমিন এর গল্প “মাননীয় সংসদ সদস্যের আঞ্চলিক সফর”

কবি মোঃ বিনয় আমিন এর গল্প “মাননীয় সংসদ সদস্যের আঞ্চলিক সফর”

মাননীয় সংসদ সদস্যের আঞ্চলিক সফর ।
মোঃ বিনয় আমিন
২।। ( সমাপ্ত )
“ শোন , সৌরভ , তুমি মনে হয় আমার রিলিফ বিতরণ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জান , নাকি জান না । ”
“ জ্বী — জ্বী না স্যার । ” একটা ঢোক গিলে বলে সৌরভ । এ কথায় ওর ঘাম ঝরা আরও বেড়ে যায় । এ ভাবে আরও কিছুক্ষণ চললে সারা দেহে ডিহাইড্রশন দেখা দিতে পারে । যাকে বলে পানি শূন্যতা । প্রথম সিট্রম এর মাঝে শুরু হয়ে গেছে । দেহে কেন জানি ক্লান্তি আর অবসন্নতা চলে আসছে । এরপর চোখে ঝাপ্সা দেখা দেবে । তারপর জ্ঞান হারিয়ে ভু – লুন্টিত হবে । সেই জ্ঞান আসতেও পারে , আবার নাও আসতে পারে । যদি যথাযথ চিকিৎসা না করা হয় । এক্ষুনি ওর অরস্যালাই খাওয়া দরকার । স্যার অনুমতি না দিলে চলেও যেতে পারছে না ।
ভাঁটি এলাকা । পুরো বিস্তির্ন অঞ্চল দশ হাত পানি নীচে । আফাজ উদ্দিন খান এম পি হয়েছেন পার্টির তদ্বিরে , নিজের ইমেজে না । নিজের ইউনিয়ন চিরাম । এলাকায় ধনি লোক হিসেবে একটু সুনাম আছে । পার্টিও করেন । দু’বার চেয়ারম্যান হয়েছেন । কিন্তু তখন এলাকার জন্যে যে খুব কিছু একটা করেছিলেন , এমন কোন রেকর্ড নেই । আবার এম পি হবার পর — সে যে ঢাকা গিয়ে থিতু হয়েছেন , আর তিন বছর এলাকায় যান নি । এলাকার প্রতি তাঁর যে খুব দরদ আছে মনে হয় না । তিনি পেশাদার রাজনৈতিক নেতা না । এখানেই সমষ্যা । হঠাৎ করে পার্টির জরুরী সভায় তাঁকে জানানো হয় , তাঁকে যেতে হবে তাঁর নির্বাচনি এলাকাতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে হবে । তখন সে মিটিঙে সৌরভ খান ছিল না । তাই সে জানে না । তিনিও পরে স্পষ্ট করে বলেন নি । এখন ডেকে নিয়ে তর্জন – গর্জন শুরু করেছেন । তিনি ত্রাণ সামগ্রী দিতে যাবেন , ভালো কথা , তাকি নিজের গ্যাটের পয়সা খরচ করে ? দেবেন জনগণের পয়সায় কেনা জিনিস । এ পর্যন্ত কোন রিলিফ বা সভা – সমিতিতে এ পি এস হিসেবে তাকে থাকতে হয় নি । তাই সে অনেক কিছু জানে না । সমষ্যা এখানেই । এখন এলাকার পুরো খবর নিতে হবে ।
“ স্যার , এখন সময় কম — আমি আপনার যাবার ব্যাপারে আয়োজন করি । আপনি ত্রাণ ও পূর্ণবাসণ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সাহেবের কাছ থেকে যতটা পারেন ত্রাণ আদায় করে নিন । আমার মনে হয় বন্যা কবলিত এলাকায় যত বেশি রিলিফ দেয়া যাবে তত বেশী সুনাম আপনার ও পার্টির হবে । মিশ্র প্রতিক্রিয়া কমে আসবে । ”
“ ঠিক আছে — এম পি হবার পর কখনো তো ত্রাণ – সামগ্রী বিতরণ করতে হয় নি । আচ্ছা যা হোক , আমি আলি হোসনের কাছ থেকে সব জেনে নেব । তুনি আসলেও কোন কম্মের না । যাও । ” সৌরভ খান চলে যাচ্ছিল , আবার ওকে থামালেন , “ আর শোনো , তুমি দেখছি , তখন থেকে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছ , অরস্যালাইন খেয়ে নিও , পরে ডাক্তার দেখিও , যাও । ” চরম বিরুক্তি নিয়ে মোবাইল ফোন টেপায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন । মনে মনে গালি দিলেন — শালা ছাগল , কিছু জানে না । একে বাদ দিতে হবে । সফর শেষ করেই , বাদ দেবেন । পারলে এক্ষুনি ঘাড় ধরে বের করে দেন । কিন্তু এতটা কোঠর হতে পারলেন না । তিনি জানেন দেখিয়ে দিলে ছেলেটি সব করতে পারে , যেমন কর্মঠ , তেমনি তাঁর ভক্ত আর সৎ । কোন সুবিধা নিয়ে তাঁর কাছে আবদার করেনি । আবার তাঁর জন্যে ইলেকশনে বেশ খেটেছিল । নর্মাল এম এ পাশ ।
সৌরভ খান নিজের রুমে এসে , প্রথমেই পিয়ন আবু আক্কাসকে দিয়ে দুটো অরস্যালাইন আনায় । দুটোই খেয়ে নেয় । পেট ভর্তি পানি । রুমের এসির পাওয়ার বাড়ায়ে দেয় । এখন আর ঘাম হচ্ছে না । ভেতরের উত্তজনা অনেকাংশে কমেছে । নিজের চেয়ারে মিনিট পাঁচেক চুপ করে বসে থাকে । এখন ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারছে । পুরো বিষয়টি প্রথম থেকে চিন্তা করছে । এম পি সাহেব নিজ এলাকায় তিন বছর ধরে যান না । এলাকা থেকে জন বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন । যেহেতু সারা দেশ জুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে । কোন স্থানে বেশী , কোন স্থানে কম । স্যারের এলাকায় বেশী । পার্টি অফিসে এ নিয়ে জরুরী মিটিং হয়েছে , সেদিন সেখানে সে ছিল না । সে তিন দিন ছুটি নিয়ে ঢাকার বাইরে ছিল , উপলক্ষ্য হোল শালির বিয়ে । আর তিনিও এ বিষয়ে তাঁকে কিছু বলেন নি । পরে জেনেছে , সবাইকে এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হবে । প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ । এখন তিনি নিজের এলাকার জন্যে কটটুকু বরাদ্দ নিতে পারেন । সব টুকু তো তিনি বিলি – বন্টন করতে পারবেন না । উনি দেয়ার পর যা থাকবে তা দলীয় চেয়ারম্যান আর মেম্বারদের মাঝে বিলি বন্টেরের ব্যবস্থা করতে হবে । ওদের না দিলে আগামী ইলেকশনে তাঁদের পক্ষে কাজ করতে চাবে না , তাঁদের নামের লিস্ট , ত্রাণের বিবরণ – পরিমাণ সব কিছু লেখতে হবে । অপজিশনের কাউ কে দেয়া যাবে না । তবে সাধারণ জনগনের মাঝে দল মত নির্বিশেষে দিতে হবে । এতে দলের ভীত শক্ত হবে । সাপোর্ট বেড়ে যাবে । সারা দেশ এখন পানি বন্দি । সে জেনেছে এরি মাঝে অনেক এম পি টেস্ট রিলিফ নিয়ে এলাকায় চলে গেছেন । বিরোধী দলের অনেকেই চলে গেছেন । বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সামাজিক – প্রতিষ্ঠান , এন জি ও কেউ পিছায়ে নেই । শুধু পিছায়ে আছেন আমার এই এম পি আফাজ উদ্দিন সাহেব । শহরের মজা ছেড়ে কোথায় যেতে চান না । কী দেখে যে , ইনাকে সিলেক্ট করেছে তা পার্টি জানে । হায়রে কপাল ! তবে কাবিল খান ইনার থেকে অনেক যোগ্য , পার্টি তাঁকে কেন যে মনোনয়ন দিল না , সৌরভ বুঝে উঠতে পারছে না । কাবিল খান এম পি হলে এলাকায় অনেক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতো ।
সৌরভ খান নিজের এলাকা মানে এম পি সাহেবের নির্বাচনি এলাকা সম্পর্কে মোটামুটি ওয়াকিবহাল । ৭ টি ইউনয়ন পরিষদ আছে , এতে ১৪৭টি মৌজা আর গ্রামের সংখ্যা ২২৮ টি । আর এম পি সাহেবের নিজস্ব এলাকা হোল ‘ চিরাম ’ । সাতটি ইউনিয়নের নাম , বারহাট্টা ( সদর ) , বাউসি , রয়পুর , আসমা , চিরাম , সিংধা ও সাহাতা । নিজের এলাকা চিরাম , পাশে বাউসি এবং সিংধা ইউনিয়ন — এই তিনটি ইউনিয়নই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশী । কারণ , কংশ নদী বাউসি ঘেঁষে চলে গেছে , নিচের দিকে সাহাতা ইউনিয়নের অবস্থাও বেশী সুবিধার না । সাতটি ইউনিয়নে বিলের সংখ্যা ও কম না । তাঁর জানা মতে কালাহোগলা বিল , মাগুরা বিল , লুঙ্গি বিল , উরহা বিল , মাক্রা বিল ও নলডগি বিল । এ সমস্ত বিল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে । সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে দলীয় সমর্থিত চেয়ারম্যান আছে , একজন স্বতন্ত্র , বাকী দুজন বিরোধী দলের চেয়ারম্যান । পুরো উপজেলায় কম বেশী দুটি কলেজ , দুটি হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল , বারটি সেকেন্ডারি স্কুল , জুনিয়র স্কুল একটি , মাদ্রাসা আটত্রিশটি , সরকারী প্রাইমারি স্কুল ছাপান্নটি , বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল ত্রিশটি , সেটেলাইট স্কুল দশটি এবং কমউনিটি প্রাইমারী স্কুল তিনটি । এ হিসেব তিন বছর আগের । বর্তমানে কিছু যোগ হয়েছে কিন্তু মাদ্রাসা ও মসজিদ বাদে আর সবগুলোতে ইউনিয়নের বর্নাত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে । কেউ কেউ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে । কেউ পানির মাঝে ভেসে থাকা ঘরের টিনের চালায় আশ্রয় নিয়েছে । অতি দ্রুত এম পি সাহেবের দিন ক্ষণ ঠিক করা হল । বাংলা মাসের আষাঢ়ের বার তারিখ , তের তারিখ ছুটির দিন হলেও , দিনটি এড়িয়ে গেছে সৌরভ খান । একজন এম পি গাড়ি বহর নিয়ে যে যায় সে ভাবেই যাবেন । রিলিফ বহনকারী গাড়ি যোগাড়যন্ত্র করতে ওর ঘাম ছুটে গেছে । এম পি সাহেব হুকুম দিয়েই খালাস !
তার আগে পার্টির চেয়ারম্যান – মেম্বারদের সাথে কথা বলতে হয়েছে । সবাই নিজ এলাকা থেকে ত্রাণ বিতরণ আর মজুদ রাখতে বলেছে । সবার নজর সরকারী ত্রাণের উপর । বিষয়টা কী ? বিষয়টা সেও জানে কিন্তু মনের মাঝে চেপে রাখে ।
গাড়ি বহর আর লট বহর গেউরা বাজার ( চন্দ্র পুর বাজার ) ব্রিজ পর্যন্ত যাবে । ব্রিজ পার হয়ে একটু দূরে যাওয়া যায় কিন্তু গাড়ি রাখতে অসুবিধা হবে । ওদিকে সমস্ত রোড ঘাট পানির নিচে চলে গেছে । ব্রিজের গোঁড়ায় তিন থেকে চারটি ট্রলার প্রস্তত থাকবে । তারপর প্রতিটি বিদ্যালয় কাম লঙ্গরখানা খুঁজে খুঁজে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে । সৌরভ খান প্রথমে ভেবেছিল কিছু রান্না করা খাবার নিয়ে গেলে ভালো হয় , যেমন — খিচুড়ি হলে খুব ভালো হয় । কিন্তু পরে এই প্ল্যান বাদ দেয় । পরে দেখা যাবে এ খিচুড়ি পচে গোবর হয়ে গেছে । তা খেলে পেটের পীড়া ভয়াবহ আকারে দেখা দেবে । গম – চাল , তেল নুন পেলে যে ভাবেই হোক রেঁধে খেতে পারবে । বাঙ্গালী মেয়েরা রান্না বিষয়টা মায়ের পেট থেকেই শিখে আসে । —- আবার মনে মনে ভাবে যেখানে চার দিকে খলি পানি আর পানি সেখানে এই চাল – গম দিয়ে কি করবে ? আটা যে করবে তার উপায় কী ? এমন ধারায় রিলিফ দেয়া কোন শা — চালু করেছিল ? তবে চাল – গম ভেজে খাওয়া যাবে । তবুও তো প্রাণ রক্ষা হবে । এই এম পি সাহেব হঠাৎ বেশ করিতকর্মা হয়ে গেছেন ! তিনি এক টন আটার ব্যবস্থাও করেছেন । আর অনেক কিছুই যোগার করেছেন । তিনি ভেবেছেন সব্বাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন । তিন বছরের ঋণ এবার বর্নাতদের পুষিয়ে দেবেন ।
এম পি সাহেব অনেক দেন-দরবার করে নিজের এলাকার জন্যে ভালই রিলিফ অনুমোদন করেছেন । সরকারী ত্রাণ গম – চালের বাইরে বেশী কিছু পাওয়া যায়নি । কিছু ওষুধ – পত্র , কাপড় – লতা , খাদ্যসামগ্রী নিজের গ্যাটের পয়সা খরচ করে কিনেছেন । চারজন পল্লী ডাক্তার সাথে নিচ্ছেন । এম বি বি এস পাওয়া যায়নি ।
মানুষের যে এতো কষ্ট থাকতে পারে , নিজের চোখে না দেখলে হয়তো উপলব্দি করতে পারতেন না । এই মানুষগুলো ঈদের মত খুশী হয়ে তাকে জয়ী করেছিল । নিজের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বয়ে এঁদের জন্যে কিছু করেন নি । ইলেকশনের সময়গুলোতে এঁদের সাথে বুকে বুক মিলিয়েছেন , হাত মিলিয়েছেন । কী নোংরা হয়ে আছে , কাপড় চোপড় থেকে বুটকা পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে , পুষ্টি হীনতায় শুকিয়ে গেছে , না খেয়ে খেয়ে । আজ দশ দিন ধরে এখানে চলে এসেছে , এখানে সবাই কিন্তু গরিব না , অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে , নিন্ম বিত্ত আছে আর আছে বিত্তহীন — সব মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে । ক্ষুধার জ্বালায় বাচ্চাগুলো কাঁদছে । তার প্রতি নীরর ঘৃণা জমে আছে ওদের চোখের তারায় । কিন্তু বেচে থাকার কি তাড়না ওদের , সবাই ওর দিকে হাত পেতে আছে । এক দিন তিনিও ওদের দিকে হাত পেতেছিলেন একটা ভোট পাবার জন্যে ! আজ তা ফেরত দেবার পালা ।
অনেক কষ্টে নিজের এলাকা চিরাম – এ এলেন । বলা যায় চিনতে পারলেন । যে গ্রামটি নিজের , যেখানে তিনি জন্মেছেন — দির্ঘদিনের অভ্যস্থ বিষয় , আবার নতুন করে দেখছেন । তার চোখের কোণ ভিজে উঠে ! যে দিকে তাকান — দেখেন , শুধু হলুদ ঘোলাটে পানি , পাক খেতে খেতে পুর্ব – দক্ষিণ দিকে চলে যাচ্ছে । মনে হচ্ছে তিনি এক বিশাল সমুদ্রে মাঝে আছেন , এর মাঝে টিনের চালা আর কিছু গাছ মাথা উঁচিয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে । সেই টিনের চালে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে । তাদের কাছে রিলিফ পোঁছে দেন , পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট দেন , সাহস দেন । ওরা সাহস পায় । কিন্তু এম পি সাহেবের কাছে অবস্থা ভয়াবহবলে মনে হল । শত শত – ঘর – বাড়ি – স্কুল- মাদ্রাসা – মসজিদ পানিরের তলায় চলে গেছে । এতো লোকজন কোথায় চলে গেছে ? এতো রিলিফ তিনি কাকে দেবেন ? তিনি রিলিফ এনেছেন অনেক কিন্তু মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না ।
একটা বড় স্কুল খুঁজে পেলেন , সেখানে লোকে লোকারণ্য ! রিলিফ বিতরণের আগে তিনি একটা ভাষণ দেন । সে এক অভূত পূর্ব দৃশ্য ! হাজার হাজার মানুষ , সঙ্গে কিছু বেসরকারি চ্যানেল চলে এসেছে । তারা তাঁর সফরের কর্মসূচী হাইলাইট করবে । তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন , বানবাসী মানুষ তাঁর কথার দিকে মনোযোগ নেই , হাত তালি নেই ! ওদের দিক থেকে এক সাথে দুটি শব্দ ভেসে আসছে , তা হল ‘ খাওয়ান দেও — খাওয়ান দেও । ’ ( শেষ )

Powered by themekiller.com