Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর মতলব ১৭৭ নং ঘোড়াধারী সপ্রাবি ভবন নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক দুর্ভোগ

চাঁদপুর মতলব ১৭৭ নং ঘোড়াধারী সপ্রাবি ভবন নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক দুর্ভোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ ১৭৭ নং ঘোড়াধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে তালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ এক বছর যাবত ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় জায়গা সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে।
১৭৭ নং ঘোড়াধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা ভবন নির্মাণে ফরাজী এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি ১ কোঠি ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ বছর পূর্বে নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাব কন্টাকটার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মোল্লা নির্মাণ কাজটি ফেলে রেখে তালবাহানা শুরু করছে।
১৭৭ নং ঘোড়াধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিবুল্লাহ জানান, এক বছর যাবত স্কুলের ভবনের নির্মাণকাজটি না করে পরে রয়েছে। স্কুলের প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে তাদের পড়ালেখার ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজটি সম্পূর্ণ করতে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে এছাড়া ঠিকাদার কামরুল ইসলাম মোল্লাকে বলার পরেও তিনি গুরুত্ব দেয়নি।

মতলব উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন জানান, বেশ কয়েকবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলার পরে নির্মাণ কাজে ব্যাপক সময় নিচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। সময়মতো নির্মাণ কাজটি করতে না পারলেও তাকে কিছু সময় দেওয়া হবে তারপরেও না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে মতলব দক্ষিণে সরকারি কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদাররা সবার মত কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে।
ঠিকাদার নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মোল্লা জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে কাজটি করা হচ্ছে না। তবে কবে নাগাদ ভবন নির্মাণের কাজটি সম্পূর্ণ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের নির্মাণকাজটি না করে দীর্ঘ এক বছর কাজটি ফেলে রাখা হয়েছে। জায়গা সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এতে করে করোনা ভাইরাস শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার কামরুল মোল্লা কাজের শুরুতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। ভবন নির্মাণের সিলেকশন বালু দিয়ে কাজ করানোর কথা থাকলেও সেখানে চিকুন সাদা বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া রড ও সিমেন্ট পরিমাণ কম দিয়ে নিম্নমানের দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজটি পুনরায় টেন্ডার করে এই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানান সচেতন মহল।

Powered by themekiller.com