কবি
—————————————–#রফিকুল্লাহ্_কালবী
কুষ্টিয়া ০৩/০১/২০২২
প্রজাপতি বললো ডেকে- কবি,
এই যে ডানা মেলে দিলাম আঁকাও দেখি ছবি-
ঘাসফড়িংও এলিয়ে দিলে ঠ্যাং
‘আগে আমায় আঁকতে হবে’- বললে ডেকে ব্যাঙ।
রং তুলিটা যেই করেছি বের
টুনটুনি কয়- ছবি আঁকার সময় পাবে ঢের,
আগে তোমায় লিখতে হবে গান
সেই গানেতে সুর যেনো হয় ভাটিয়ালী টান।
বের করিনু কলম এবং খাতা
কাশফুলে কয়- কবি তুমি একেবারেই যা তা,
হাঁপিয়ে গেছো কাগজ কলম ঘষে
একটুখানি জিরিয়ে নাও আমার পাশে বসে।
বসনু গিয়ে নদীটির ওপারে
চরের বেলে হাঁসগুলো হায় নজর খালি কাড়ে,
প্রশ্ন করে পালতোলা নাওখানা
আমায় নিয়ে লিখতে ছড়া কে করেছে মানা?
আমি কি আর কারও মানা শুনি?
সারাটা দিন বসে মেঘের নীল পরীদের গুনি,
পা ধরে কয় মেঠো পথের ধূলো-
ডাকছে দেখো দুর্বাঘাসের শিশির কণাগুলো।
মুষলধারে বৃষ্টি ঝরার দিনে
মেঘের মেয়ে পুরোপুরি কবিকে নেয় কিনে,
পদ্মপাতায় জল পড়ে টুপটুপ
পানকৌড়ি ডাক দিয়ে কয়- আয় না পাড়ি ডুব।
সাঁঝের বেলা জোনাকিরা জ্বলে
আর কেবলই ডাকতে থাকে ঝিঁঝিঁ পোকার দলে,
শেয়ালগুলো কবির কাছে কয়-
ওদের সাথে রাত কাটালে খুব কি ক্ষতি হয়?
শুকতারা ও উদাস চাঁদের বুড়ি
নীল আকাশের পাহাড় থেকে মাথায় নিয়ে ঝুড়ি-
নামছিলো যেই মেঘের সিঁড়ি বেয়ে
সন্ধ্যেতারা চোখ টিপে দেয় একলা আমায় পেয়ে।
Copyright protected by the writer.