Breaking News
Home / Breaking News / ফরিদগঞ্জে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবী

ফরিদগঞ্জে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবী

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন। অধিকাংশ ভোটার পছন্দের প্রর্থীকে ভোট দিতে প্রস্তুত। তবে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না- সংশ্লিষ্টদের মনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের দিন হতে লাঠিসোটা, রড, ধারালো অস্ত্র ও যানবাহন নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মহড়া, বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সহিংস ঘটনায় ভোটারদের মনে এমন প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। ভোটারদের দাবী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় নেয়া, ভোট কেন্দ্র ও কেন্দ্রে যাতায়াতের পথ বাধাহীন হবে। এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেছেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকারের দায়িত্বশীলগণ সচেষ্ট রয়েছেন। কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। ইতিমধ্যে, নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রার্থী ও ভোটারদের অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দেরদিন বিভিন্ন ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপর, প্রায় প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় নিয়মিতভাবে নির্বাচনী অফিস, প্রচার মাইক, গাড়ি ভাংচুর, হামলা, মারধরসহ কর্মী, ভোটার ও প্রার্থীকে হুমকি ধমকি দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় একাধীক মামলা হলেও হামলা, ভাংচুর ও হুমকি বন্ধ হয়নি। আটক হয়নি কোনো অবৈধ যানবাহন ও অস্ত্রসস্ত্র।

উপজেলার ২ নং বালিথুবা (পশ্চিম), ৬ নং গুপ্টি (পশ্চিম), ১৫ নং রূপসা (দক্ষিণ), ১১ নং চরদুঃখিয়া (পূর্ব), ১২ নং চরদুঃখিয়া (পশ্চম), ১০ নং গোবিন্দপুর (দক্ষণ) ইউনিয়নের ভোটার আবদুর রহিম (৫০), আবুল কালাম (৩৫), জয়নাল আবদীন (৫২), ফিরোজ আলম (২৫) রহিমা বেগম (৪০), রহমত উল্লা (৩৮), আবদুর রহমান (৩০) প্রমুখ ভোটার বলেছেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। কয়েকজন ভোটার বলেছেন, “রাইত-বিরাইতে গাড়িতে চইড়া অচেনা পোলাপান এলাকায় ঘুইরা বেড়াইছে। এলাকার পোলাপানরে অস্ত্র দেখাইয়া হুমকি দিছে। ভয়ে অনেকেই মুখ খুলে নাই। কোনো অভিযোগও করে নাই”। ক্ষুব্ধ কেউ বলেছেন, “ওইসব সন্ত্রাসী কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে বলে শুনিনি”। প্রশ্ন করলে তারা বলেছেন, “আমরা ভোট কেন্দ্রে যেতে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। তাদের দাবী “নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নেয়া হউক”।
সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে আগামীকাল বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭৩, সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৬ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২৪ (সর্বমোট ৬৯৩) জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করলেও প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রথম সারির পদের নেতারা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। এছাড়া, সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অনেকে। অন্যদিকে, প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এর একাধীক প্রার্থী নির্বাচনে রয়েছেন। বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর অংশ গ্রহণের ফলে নির্বাচন উৎসবমুখর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যপারে কথা বলার জন্য ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এর সরকারী মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেছেন, নির্বাচনে যত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তার সবই গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। প্রশাসন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে সম্পর্ণূরূপে প্রস্তত। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাবেন ও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।

Powered by themekiller.com