ফসিলের ক্রন্দন
নুরুন্নাহার মুন্নি
—————————
উদোম গায়ের নগ্নতার মতো–
আমার দৃষ্টি চঞ্চল ছিল সেদিন,
অভিমানের লিথোগ্রাফে আঁকা–
ভূমিষ্ঠপ্রায় আমার ব্যর্থ ব্যাকরনগুলো–
চিৎকার তুলেছিল তোমার মৌন ক্যানভাসে।
একান্তে বসা অমনযোগী স্পর্শে–
শরীরী টগবগে কাঁপন লন্ডভন্ড করেছিল–
আমার অহংকার; তবু ও ছিন্ন করিনি;
দীর্ঘশ্বাসের মৃত ফসিল।
ইচ্ছের ডামাঢোলে কামড়ে নিতে চেয়েছি–
তোমার আপাদমস্তক,
কিন্তু অনিশ্চিত লোভের বিচ্যুতির বাইরে
খুঁজে নিয়েছি এক দহন চোখের কাজল;
সুললিত বাক্যের মৈথুনে অসাড় করেছি–
অবহেলিত নষ্টচন্দ্র।
চেয়েছি তোমায় রাবণরুপে;
তুমি রাবণ হলে; আমি আবার মুর্খদের পাঠশালায় হতাম নৈশমাতাল,
মানবতার ঘুঙুর পড়ে আবার না হয় বসতাম–
সভা-সেমিনারে।