কবিতা-আত্মহত্যা।
কলমে-মোহাম্মদ সোহেল রানা
আদম সৃষ্টির পর হতে ইবলিশ
মানুষকে দিচ্ছে ধোঁকা,
শয়তানের প্রতারণার ফাঁদে পরে
মানুষ হয়ে যাচ্ছে বোকা।
মানুষের খুন খারাবি খুদ-খুশি যত
শয়তানের ইশারায় হয়,
কুমন্ত্রণার জাল বুনে সে সফল
উল্লাসে করে জয়।
এত সুন্দর ভূবণটা মানুষের কাছে
বিষাদ যন্ত্রণায় ভরে তুলে,
ভালো মন্দ বিবেক বৃদ্ধি ইবলিশের
প্রতারণায় মানুষ যায় ভুলে।
কেনো আত্মহত্যার পথ অনুসরণ
করে মানুষ একটু যদি ভাবি,
এর পিছনে থাকে সামান্য কিছু
চাওয়া পাওয়ার দাবী।
বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের কিছু
চাওয়া নিয়ে থাকে দ্বন্দ্ব,
তাই বিষ খেয়ে,ফাঁসি দিয়ে তারা
লুটায় অমূল্য জীবনের ছন্দ।
স্বামীর সাথে বিবাদে জরিয়ে
অনেক স্ত্রী আত্মহত্যা করে,
সন্তান,স্বামীর জীবনে চিরতরে
সুখ শান্তি যায় মরে।
আবার স্ত্রীর সাথে অভিমান করে
অনেক স্বামী গলায় দেয় দড়ি,
একটিবারও দেখে না ভেবে কেউ
স্ত্রী,সন্তান কোথায় থাকবে পড়ি?
একটু ভেবে দেখো তোমার সন্তানটা
ডাকবে কাকে মা,বাবা?
আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে বন্ধু
এখনই করো তওবা।
সকল বাবা,মার কাছে আমি
আকুল আবেদন করে যাই,
আপন সন্তানের চাওয়া পাওয়ার
দিকে গুরুত্ব দিও সবাই।
বাবা,মায়ের শত্রুকে সন্তান যদি
টেনে নেয় তারা বুকে,
বাবা,মায়ের উচিত দোয়া করা
তারা যেনো থাকে সুখে।
এই ভুবনে স্বামী,স্ত্রী যারা তাদের
কাছে মিনতি করে যাই,
ঝগড়ঝাঁটি হলে যেনো উভয়ে
দু’জনার কাছে ক্ষমা চাই।
আত্মহত্যা এক জঘন্য মহাপাপ
মনে রেখো বন্ধু সবাই,
পরজনমে ক্ষমা নাই তার নরকের
ঠিকানায় হবে ঠাঁই।