কে এই মালি?
সোনালী আদক
৩০/১২/২১
এক যে ছিলো মালি, বাবুদের বাগান দেখাশোনার,
নজরবন্দি সেথা গণ্ডি, সীমারেখার আনাগোনার।
অনুসন্ধানে মিললো শেষে, প্রাঙ্গণের অভীষ্ট কায়েম,
স্বপ্নের কানন পরিচর্যায়, রইলো সদা মোতায়েন।
ক্ষুদ্র বৃহৎ রঙিন মাঝারি, বৃক্ষ ভরা রংবাহারি,
গুটি কতো সঙ্গী হতে, মিশতো কয়েক হরজয়ালি।
মালি হোথায় বসত গড়লো, সুখের অববয়ে,
নিত্য নতুন ফুল ফোটালো, প্রানের বিনিময়ে।
অগোচরে ছিলো গোপনে, দুষ্টু পরাগ ধর্ষণকারী,
মিষ্টি মধুর ভাব জমাটি, নকল হাসির বেশধারী।
সজাগ সদা এড়াইনি মালির, প্রখর নজরদারি,
দিবানিশি কায়ক্লেশে, দৃঢ় প্রহরে জীবন জারি।
ফলে ফুলে ভরা বাগানে, ছাইলো দখলদারি,
হটাৎ ধেয়ে এলো সেথা, বট বৃক্ষের চোরাশিকারী।
নিরাশ মালি আত্মত্যাগে, ভালোবাসার টানে,
মায়ার চাদর জড়িয়ে দিলো, প্রানের প্রিয় বাগানে।
জড়িয়ে সেথা প্রান ভ্রমরা, রক্ত শিরায় ছেয়ে,
আপন তারে পর করেছে, সে যে পরের পানে চেয়ে।
কাঁটা বিষে জর্জরিত, কেবল হচ্ছে পরান পাখি,
অশ্রু খরার দাবদাহে, মরুভূমি শুস্ক আঁখি।
উদ্যান পরিচর্যার ভারে,দিচ্ছে দেশ বিদেশ পাড়ি
নিঃস্ব শূন্য হাতেও মালি, বাগানের রক্ষাকারী।
খানিক গভীর অন্তর্ধানে, মিলবে জবাব খানা,
অন্তর্নিহিত অর্থে ভরা, মালির জীবন মালা।