#শুভ_বড়দিনের_আন্তরিক_শুভেচ্ছা_ও_ভালবাসা_জানাই_আমার_সমস্ত_প্রিয়জনদের
কবিতা-
@ #হতভাগা @
#সুশান্ত_ঘোষ
শীতের সকালে কুয়াশাভেজা ফুটপাথে
কুঁকড়ে শুয়ে ছিল “হতভাগা” ছেলেটা,
শিশির বিন্দুর সোহাগে রাতের অন্ধকারে
হয়তো মুড়ে নিতে বাধ্য করেছিল ওকে
ছেঁড়া চটের বস্তাটা গায়ে জড়িয়ে নিতে –
রোজকারের মতো আড়মোড়া অবস্থায়।
সকালের ঝলমলে সূর্য প্রতিদিনের মতো
ফুটপাথে ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়ার জন্য
আকাশের তীব্রতা একটু বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বেলা বাড়ার সাথে ফুটপাথে হাঁটতে গিয়ে
মানুষের তীব্র বিরক্তি হয়তো পাপস্খলন
ঘটাচ্ছিল পরজন্মের জন্য “হতভাগা” ছেলেটার।
দূর থেকে ওর ওপরে বর্ষিত গালিগালাজ
নিঃশব্দ নীরবে হজম করে নিচ্ছিল “হতভাগা”।
ফুটপাথের দোকানি চিৎকার করে বলছিল
কি রে “হতভাগা” কখন সূর্য উঠেছে আকাশে
রাতের ঘুম তোর ভাঙছেই না এতো বেলায়,
আজ তোর খাবার জুটবে না রে “হতভাগা” ।
দোকানির পায়ের ঠেলা আর পুলিশের লাঠি
হার মানলো চির নিদ্রায় শায়িত ওর কাছে,
ওকে যখন সোজা করে দিল ওদের প্রচেষ্টা
হাড়জিরজিরে পাঁজর খোলা শরীরটা থেকে
প্রাণবায়ু অনেক আগেই মুক্তি দিয়ে গিয়েছে,
সবার মুখে এলো স্বগতোক্তি বড়দিনের সকালে ।
“বড়ো ভালো ছেলে ছিল “হতভাগা”, নিখরচায়
শীতের রাতে ফুটপাথে শুয়ে থাকা পাহারাদার” ।
স্বত্ব সংরক্ষিত