কবিতা — অরণ্য বুকের ভেতর
শ্যমল ব্যানার্জী
১২/১২/২০২১
কোনো বসন্ত আমায় দেয়নি কিছু,
ফাগুনের রঙ দলহীন একাকী নিঃসঙ্গ
চলে গেছে..
আসেনি আমার কাছে।
তুমি তখন পাহাড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে
দেখছিলে সূর্যদয়…
আর কিছু অন্ধকার চুইয়ে পড়ছিলো ফার.. উইলো…পাইনের বুক চিড়ে
আমার বিকলাঙ্গ সময়ের কালে।
আমি জড়ালাম একরাশ অন্ধকার ধীরে ধীরে.. তখন তুমি অনেক উচ্চতায়।
আমি তো এক অতি সাধারণ কবি ছিলেম,
অবশ্য কবি বলে করিওনি দাবি কোনোদিন।
তবু কি আশ্চর্য দেখো, সে নামের মাহাত্ম্য বোধহয়
অন্তরীক্ষে অট্টহাসি হেসেছিলো,
অন্ধকার ছড়িয়ে দিলো.. সে অন্ধকার এখন আমার ভীষণ প্রিয়।
অরণ্য বুকের ভেতর.. বাহির অমানিশা.. নক্ষত্র পুড়ে গেছে সারারাত,
হৃদয় একফালি জোৎস্না এঁকে রাখে দেয়ালের পলেস্তরায়.. মৌন মুখর।
আমার ঘর নেই তবু আমার ঘরের দিকে আসা কিছু শূন্যতা
জোনাকির জ্বলে ওঠায় উদ্ভাসিত হয়,
তোমার উচ্চতায় যদিও পারেনা যেতে…
তবু অনন্ত অপেক্ষা রেখে যায়,
একদিন যদি আসো পাহাড় ভেঙে..ভেঙে।
এখানে ঢেউ নেই.. নিস্তরঙ্গ চোরাবালি আজ
মৃত্যুহীন প’ড়ে আছে,
এক মানুষের জন্য.. কারণ মানুষ কোনো দ্বীপ নয়,
তবু নিরবিচ্ছিন্ন এক মানুষ বড় একা।
সূর্যদয় দেখেছিলে, সূর্যাস্তের শেষ আলোয়
যদি আমাকে দেখতে পাও,
তবে, অনুরোধ রেখো আমার … একটা কবিতার পাতা উড়িয়ে দিও আমার নামে পাহাড়ের উচু দেওয়াল-টায়।