নিপুন জাকারিয়া:—
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে গত ১০ দিনে ডজন খানেক গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শীতেও গরু চুরি করার সময় তিতপল্লা পুলিশ ফাড়িঁ এলাকা থেকে, মোবাইল ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ এক জন কে আটক করা হলেও দেন মহরের মাধ্যমে, প্রশাসন তাকে ছেড়ে দেয়। আটক কৃত চোরের মোবাইলে পুলিশের নাম্বার পাওয়া যাওয়ায়, তরিহরি করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।, যা জামালপুর বাসী প্রত্যক্ষ ভাবে উপলব্ধি করেছেন।
সদ্য কেন্দুয়া থেকে, চুরি হওয়ার প্রতিটি গরুর মালিক জামালপুর সদর থানায় জিডি করলেও কোন রোপ সুফল পাননি তারা। কেন্দুয়ার সদ্য চুরি হওয়ার গরুর মালিকদের মধ্যে রয়েছে, কুটামনি গ্রামের নুর মাহামুদের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ক্রির আনারের একটি, একি এলাকার দুদু মিয়ার পুত্র আজাদের তিনটি, কুমারপাড়া গ্রামের মোজাহারুলের ছেলে মোশারফ ৬ টি গরু চুরি হলেও নারায়নপুর পুলিশ ফাড়িঁ এলাকায় একটি ও ধনবাড়ী এলাকা থেকে একটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মহিষসহ আরো কয়েকটি গরু চুরি হয়েছে বলে জানা যায়।
এগিকে গরু চুরি প্রতিরোধে, প্রশাসন প্রতি রাতেই টহল পুলিশের মাধ্যমে পাহারায় থাকা লোকজনকে, চায়ের দোকানে কিংবা কোন মনোহারী দোকানে সারা বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় বলে, জানিয়েছে এলাকা বাসী। কেন্দুয়ার স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, প্রতি রাতেই একটি সাদা মাইক্রো প্রায়ই কেন্দুয়ার মেন রোড়ের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। কেন্দুয়ার বিনন্দেরপাড়া এলাকায় গত কয়েক দিন আগে, সেই মাইক্রোটি চলে যাওয়া সাথে সাথে মোল্লাপাড়া রোড়ে একটি পিক্যাপ গরু চুরির জন্য, অবস্থান নিলেও জনগনের আনাগুনা টের পেয়ে তরিহরি করে ছেড়ে চলে যায়। এমন ঘটনায় স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিন জানান, প্রতিনিয়ত গরু চুরির জন্য, সে তার সমাজের গরু মালিকদের দিয়ে, পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছেন।
কেন্দুয়ার সাধারন জনগন জানান, গরু চুরির ঘটনায়, প্রশাসন নিরব, তাদের বার বার বলেও কোন ফোন পাচ্ছে না জনগন। মোল্লাপাড়া গ্রামের ইউপি সচিপ রাসেল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মিটিং সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবিহত করলেও, কোন প্রকার ফল পাচ্ছে না কেন্দুয়া বাসী। গরু চুরির বিষয়ে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এভাবে চললে জনগন গরু পালনে তাদের আগ্রহ হারাবে। এ বিষয়ে কথা বলতে, জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনর্চাজকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।