Breaking News
Home / Breaking News / ফরিদগঞ্জে রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে ৭ জঙ্গী

ফরিদগঞ্জে রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে ৭ জঙ্গী

আবু হেনা মোস্তফা কামাল: ফরিদগঞ্জে আটককৃত ৭ জঙ্গী রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। এতে তাদের জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার ব্যাপক প্রমান মিলেছে। এসব প্রমান নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। চলছে ব্যাপক তদন্ত। তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর আরও অনেক ঘটনা জানা যাবে বলে পুেিলশর ধারণা। এ ৭ জনের মধ্যে মো: রাশেদুল ইসলাম ওরফে বাবু ওরফে হাম্মাদ নামের একজন সন্ত্রাস বিরোধী একটি মামলায় প্রায় ১৪ মাস পলাতক ছিলো। কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে ৭ জঙ্গী আটক করার ঘটনা দেশে এটাই প্রথম বলে পুলিশের দাবী। ফলে, জঙ্গী আটকের এ ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ এর একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত তিনজন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মো: রাশেদুল ইসলাম (ছাত্র, ২৫), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার কাওসার হামিদ (ছাত্র, ১৯) ও কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার মাহমুদুর রহমান (ছাত্র, ২৪) জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। তারা বলেছে, তারা আনসার আল ইসলাম নামক একটি সংগঠন এর দাওয়াতী সদস্য। তারা দাওয়াতী কাজে ফরিদগঞ্জে এসেছিলো। এ সময় সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেওয়ার সময় তারা তাদের সঙ্গে থাকা সবগুলো মোবাইল (৬টি ) ফোন বন্ধ রেখেছিলো। তাদের কাছে বিশেষ সফটওয়্যারের সন্ধানও মিলেছে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তারা নানান যোগাযোগ রক্ষা, তথ্য আদান প্রদান করেন।

পুলিশ আরও জানায়, তাদের সংগঠনের অন্য আর একটি শাখা আছে। সে শাখার নাম আজকারী। আজকারী সদস্যরা টার্গেটকৃত খুনের মিশনে অংশ নেয়। আটককৃত অন্যতম সদস্য নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মো: রাশেদুল ইসলাম ওরফে বাবু ওপফে হাম্মাদ (২৫) আজকারী শাখার সদস্য। তার নামে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা (নং ০৮ (১১) ১৭, ধারা: ৬, ৮, ৯ ও ১০) রয়েছে। এ মামলায় তিনি প্রায় ১৪ মাস পলাতক ছিলেন। সংশ্লিষ্ট থানা ও র‌্যাব-১০ তাকে খুঁজছিলো।

এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে ও তাদের সংগঠনের ব্যপারে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ বিশেষভাবে মনিটরিং করছেন। ব্যাপক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটককৃত ও মামলার অন্য সদস্যরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার নেয়ামত উল্লা (শিক্ষক, ২৬), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার মো: হাবিবুর রহমান (শিক্ষক, ৩০) ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার মো: ফজলুল করিম (শিক্ষক, ৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কামরুল হাসান (ছাত্র, ২৭)। তারা মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বাউশিয়া এলাকার কলিম উল্লাহ শেখ শিক্ষা কমপ্লেক্সের কলিম উল্লাহ শেখ কওমী মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্র।

Powered by themekiller.com