“হৃদয় গহ্বরে”
এম. আর হারুন
এইতো এলে হৃদয় গহ্বরে কবিতার পংতি মালা হয়ে
সময় ক্ষেপনের দরজায় কড়া নেড়ে
বুকের ভেতর আনচান, একটু সুখের বারতা
কিছুক্ষন থাকলে, ওপার প্রান্তে বাতাসে উড়ে
নিমিষেই উধাও।
ভালোবাসলে সরবরে কবিতা গুলো
হৃদয়ে দাগ কাটে বলে একটু নিঃশ্বাস নিলে
অতৃপ্ত ভালো বন্ধু হয়ে দেখা দিলে,
জানি তোমার শূণ্যতায় আমি অবিশ্বাস
কোথায় যেনো ভুলের মাশুল গুনতে হয়
পরাজয়ের গ্লানী আচমকা দাগ কাটে।
বিষন্ন মনে প্রশ্নের উত্তর গিলো পাছে পড়ে
কাঁটা বিধলো পিছুটানে জীবন ইতিহাসে
অমনোযোগী কিংবা পাগলের প্রলেপ,
একটু দুষ্টমির ছলে আবদ্ধ করে নিজেকে
অচিরেই হারিয়ে গেলে কোনো উপমায়
অথবা অবিশ্বাসের কোনঠাসা বিদগ্ধতায়।
কাছে টানলে কি কাছে আসো তুমি
দুরের পাহাড় ঘেঁসে সবুজ অরন্যে সম্মৃতির ডানায়
সুখের পালকে ভেসে ভেসে অজানায়,
দেখা হলো চুপটি সারে গানের অতলে
তোমার মনে যে একটা বিশাল সমুদ্র আছে
তাকি তুমি অস্বীকার করতে পারবে।
নগণ্য বলে আমি হয়তো দুরের পথ যাত্রী
যে তোমার নাগল ছুঁতে কষ্ট হয়
নীরব বালিশে চুপটি করে ঘুমিয়ে গেলে,
যার পংতিমালা পড়ে একটু নির্ভরতা দিলে
হাসির ঝিলিকে চোখের চাহনিতে
সে তো পড়ে থাকলো তোমার পদদলে।