Breaking News
Home / Breaking News / পদ্মা মেঘনায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

পদ্মা মেঘনায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

এম. আর হারুন ঃ প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে দেশের প্রধান ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্নের খেলা শুরু হয়ে থাকে। এর মুল কারন হচ্ছে মেঘনা পদ্মায় অবাধে অপরিকল্পতভাবে বালি উত্তোলন। নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা কিংবা প্রশাসনিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা। অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলনের ফলে চাঁদপুর শহরের মুলহেড, ব্যবসা প্রসিদ্ধস্থান পুরানবাজার থাকে ঝুকিপুর্ন। এমনকি শুস্ক মৌসুমে মেঘনা পদ্মার পানি দ্রুত গতিতে হ্রাস পেলে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়। আতংকিত হয়ে পড়ে চাঁদপুরবাসী। এমনকি বর্তমান সরকার চাঁদপুর হাইমচর রক্ষায় বাঁধেও ফাটল কিংবা দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রতি বছর শুস্ক মৌসুম কিংবা ভরা বর্ষায় পুরানবাজারের কয়েকটি স্থানে শহর রক্ষা বাঁধ দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুর শরীয়তপুরের সন্নিকটে প্রতিদিনই শতাধিক বলগেট বালি উত্তোলন করতে দেখা গেছে। এ সব বালি উত্তোলনের বলগেট কর্তৃপক্ষ মানছে না কোনো নিয়মনীতি। সুত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে নদীর বিভিন্ন স্থানে পলি জমা হয়ে থাকে, এতে নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। নিয়মিতভাবে নৌ যান চলাচলের জন্য বাংলাদেশ বিআইডব্লউটিসি পরিকল্পিত ও নিয়মানুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকে। কিন্তু বালি উত্তোলনকারীরা অপরিকল্পিতভাবে নিজ ইচ্ছানুযায়ী বালি উত্তোলন করছে। অপরিকল্পিত ভাবে বালি উত্তোলনের কারনে চাঁদপুর শহরের সৌন্দর্যকৃত ও পর্যটক কেন্দ্র ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়ে। এমনকি নদীর ঘুর্নন স্রোতের কারনে চাঁদপুর শহরের রক্ষা বাঁধে ফাটল ও দেবে যায়। শহরবাসী আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। গত কয়েকদিন পুর্বে পুরানবাজারের একটি অংশে দেবে যাওয়ার কারনে আতংকিত হয়ে পড়ে পুরানবাজারবাসী। চাঁদপুর পানি উন্নয়নবোর্ড তড়িৎ ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে চাঁদপুরবাসীর আহবান অবিলম্ব চাঁদপুরের সন্নিকটে বালি উত্তোলন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করুন। নচেৎ ভয়ালগ্রাসী মেঘনায় ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Powered by themekiller.com