মানচিত্র
অনমিত্র সান্যাল
২৮/০৯/২০২১
অনেক কিছু লেখার ছিল বলার ছিল অনেক বেশী কথা,
ভালোবাসার নামতা শিখে প্রেমেই দিলাম দারুণ একাগ্রতা।
একট দুটো শ্বেত করবী,হেতাল,বকুল তেমন কিছু নয়
দেখতে দেখতে কেটেই গেল পেটের টানের গভীর দুঃসময়।
এখন শুধু ফিরে যাবার তাড়া,শব্দহীনের ব্যাকুল অহঙ্কারে
শেষ ট্রেনটাও ছেড়ে গেল,প্ল্যাটফর্মে কেন যে রাত বাড়ে ।
জীবন এখন অণ্ধকারের রণক্ষেত্র দৃশ্য,
ধর্মের রঙ জাতির ধ্বজায়,প্রত্যাশা অদৃশ্য।
চোখের নীচের কালি ঢাকতে চোখের পাতায় নীল
অনুতপ্ত দৃশ্যগুলো আলোর বৃত্তে সুচারু স্বপ্নিল ,
স্তনশঙ্খের উপত্যকায় অনুতপ্ত দৃশ্যগুলো তোলা
কাল সকালে খেলনা ফেলে ঘুম ঘুম চোখ বাড়ি ফেরার পালা।
বাড়ি কোথায় ? জীবনকুশুম দারুণ দীর্ঘশ্বাস,
বরমাল্য হাতেই ছিল,গোলাম ছিল, বিবি ছিল শুদ্ধাচারীর হাতে ছিল বরাদ্দ তিন তাস…
এখন আমি দেশের থেকে অনেক দূরে,ঢাকের বাদ্যি শুনি
আরব সাগর তীরে বসে নীরবে ঢেউ গুনি।
অন্ধকারেও দেখছি আমি বেশ
চায়ের বাগান,ঐ যে নদী,ঐপাহাড়ের রেশ
উঠোন জুড়ে দেখতে পাচ্ছি দেশ…
সাত সকালে চান করে ছুট,খই বাতাসার দারুণ হরিলুঠ,
পাক খাওয়া মেঘ, অর্থহীনের হাজার ছবি মায়ের হাতের অজস্র তিলকূট
পড়ছে মনে আরবসাগর জলের টানে হাজার ছবির টুকরো-টুকরো কণা
অন্ধকারে একই আছে শেষ দেখা মেঘ রঙীন আলোয়
মানচিত্রের জং ধরা মুখখানা।