Breaking News
Home / Breaking News / কবি রিটন মোস্তফার হৃদয়ের গাঁথুনী এক হিন্দোলা, তাকে নিয়ে অন্যতম লেখা ● কেঁদনা হিন্দোলা ●

কবি রিটন মোস্তফার হৃদয়ের গাঁথুনী এক হিন্দোলা, তাকে নিয়ে অন্যতম লেখা ● কেঁদনা হিন্দোলা ●

● কেঁদনা হিন্দোলা ●

দীর্ঘশ্বাস চাপা থাক বুকের বাঁ পাশে
আসো, সামনা সামনি কিছুক্ষণ বসি দুজন
পিছনটা যা গেছে চলে, ওটাও ওখানেই থাক….।
দেখা হলোই যখন বৃদ্ধ বটের ছায়ায়
একটু মেলানো যাক চোখের সাথে মনের আরও একটিবার।
হ্যাঁ, এই যে এই ডান পাশে বস
বা পাশটা বহু বছর আগেই তো পুড়ে গেছে
আগে দেখা করতে এলে যে পাশটাই বসতে….!
আচ্ছা থাক ওসব,
যতই বলছি পিছনে যাব না, মন যে মানে না!
বহুদিনের পুরানো বাঁধটা ফাটলে ধরেছে।
চাইলেও সবটা আর আটকে রাখা যায় না।

এবার বল, তোমার কথা বলো!
না না একটুও কাঁদবে না, একটুও না
খুব একটা আগের মতো
শরীরে শরীর লাগিয়ে আজ বসবে না।
একটু দূরত্ব থাক, চোখটা মোছ, মাথা তোল, তাকাও এদিকে।

আচ্ছা হিন্দোলা এই যে দেখা হলো
কেটে গেল বিশটি বছর, ফেটে গেল গোপন পাঁজর
সে ব্যথায় কি কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে
তারায় তারায় খুঁজেছ ছোট ছোট অতীত তুমিও?
গোপনে চেপে গেছ কি আমার মত অজস্র দীর্ঘশ্বাস?
না কি দিনকে দিন অপরকে করেছ আরও আপন?
আমার যে বসত ভিটা দিয়েছিলে ভালোবেসে
সেটা কি সময়ের সাথে সাথে অন্যের করে দিয়েছ?
দিতে পেরছ কি মন থেকে?

এই প্রশ্নটাই আজ বিশটি বছর বিশটি লক্ষ বার
আমাকে ঘুমাতে দেয়নি, শুধু এই একটা উত্তর চাই!
ভুলে যেতে পেরেছিলে কি ততটাই
যতটা আমি এই লম্বা সময়ে তোমাকে আরও বিঁধেছি বুকে?

কাঁদছ? একদম না হিন্দোলা, এখন কান্না নয়
বিশ বছরের লম্বা পথ হেঁটে যখন ভাবছি, মাটি চাপা হব!
দেখ, নিয়তি কি পরিহাস , দেখা হয়ে গেল, সেই বৃক্ষের নীচে
যেখানে অসংখ্য অসংখ্য বার দুজনে বাসর গড়েছি কাছে এসে।

ওহ হো হিন্দোলা! এভাবে ডুকরে উঠোনা, কেঁদনা তো তুমি!
আচ্ছা থাক তবে বিশ বছরে প্রশ্নটা চাপা, আবার একটা দীর্ঘশ্বাস না হয়
শেষ বারের মতো লটকে থাক হৃৎপিণ্ডের শেষ স্পদনে!
তবু তুমি আজ কেঁদ না হিন্দোলা,,,,,,

হিন্দোলা,
কোধায় যাচ্ছ ওভাবে আঁচলে মুখ গুঁজে?
পথে হোঁচট খাবে, দেখে শুনে যাও তবে,
আমার মত তোমাকেও আর ফেরারী বলব না হতে…।

Powered by themekiller.com