অন্তর্দহন
সারমিন জাহান মিতু
৯-৯-২০২১
আমার অন্তর্দাহ গুলো খুঁড়ে খুঁড়ে দেখো একবার,
এখন শুদ্ধ পোড়া মাটির পুতুল সে নয়- একজন পরিপূর্ণ মানুষ।
কতটা আঘাত দিলে বিচলিত হবে মন,
দিয়ে দেখো অনড় অনল সে পোড়ানো যাবে না তাকে।
চৌকাঠ পেরুবো বলে যখন পা বাড়িয়ে ছিলাম,
তখন সুউচ্চ পাহাড় সমান দেয়াল দিয়ে পথরোধ করেছিলে।
আমি তখন বয়ঃসন্ধি কালের নির্মমতা মেনে নিলাম,
বাইরে যাবার সদরদরজায় শাসন প্রহরী-
অদৃশ্য শিকলে বাঁধা রুটিনের জীবন।
জানালার ওপাশে হাতছানি ছিলো বাল্য সখা- সখীর উচ্ছল জীবন,
আর আমি বায়স্কোপে বন্দী হওয়া পুতুল –
একবার সিঁড়ি পেরিয়ে নীচের লাল মাটি ছুঁয়ে দেখতে পারিনি বংশমর্যাদাহীন হয়ে যাবে বলে।
আমি চুপচাপ শ্মশান জীবন মেনে নিলাম,
একটা সময় ভেবে নিলাম এটার নাম হয়তো জীবন।
স্বপ্ন দেখতে বারণ বলে স্বপ্ন দেখিনি অষ্টাদশী কোন কুমারীর মতো,
সুপুরুষ উত্তম বেঁধে দিলে কাঁধে -বুকের আঁচলে জড়াতে পারিনি -মন তো আমার ছিলো-ই না কোনকালে।
কিন্তু মানুষ বলে যদি কোন সত্তা থেকে থাকে আমার ভেতর – বলো সে কেন প্রতিবাদ করবে না,
আমি বন্ধ দরজায় হুংকার দিয়ে ভেঙে দিলাম নিয়ম
—খোলা আকাশ আর নির্মল বাতাসে প্রাণ স্বস্তির নিশ্বাস নিলো।
তারপর আবার তোমাদের অনিয়ম আমাকে নিয়ম বলে মেনে নিতে হবে,
সেটা হবার নয় পোড়া বারুদ বক্ষে যার পুড়িওনা তাকে আর।।
এবার ক্ষ্যান্ত দাও অথবা পুড়ে মরো এ অন্তর্দহন অনলে।