Breaking News
Home / Breaking News / লক্ষ্মীপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবী এলাকাবাসীর!

লক্ষ্মীপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবী এলাকাবাসীর!

মোহাম্মদ ইয়াছিনঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর- মটুয়া গ্রামে বালু উত্তোলন করা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা যায়,
চর-মটুয়া গ্রামে চৌধুরী চোরা -গো- বাড়ীর পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। কিন্তু পুকুর পাড়ের উত্তর- পশ্চিম পাশের জমি মালিক, আবুল কাশেম, আমিন উল্যাহ, বিল্লাল হোসেন, কোরবান আলীর ভূমি থেকে জোর পূর্বক বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয়দের সাথে রাশেদের হাতা হাতি হয়। হাতা হাতির এক পর্যায়ে রাশেদ আমিন উল্যাহর উপর হামলা করে বলে জানান ভূক্তোভোগী পরিবার। এ বিষয়ে, হানিফ, মাকছুদ, নজির আহম্মদ জানান, জোর পূর্বক চৌধুরী চোরাও রাশেদ বালু উত্তোলন করে। এসময় আবুল কাশেম, আমিন উল্যাহ, বিল্লাল হোসেন, কোরবান আলীর সাথে রাশেদের কথা কাটা কাটি হয়। এসময় রাশেদ আহত হয়। । এ বিষযে আমিন উল্যাহ জানান, রাশেদের সাথে আমাদের হাতা হাতির সময় রাশেদ পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায়। এ ঘটনার জের ধরে নজরুল ইসলাম সদর থানায় একটি মামলা করে। মামলায় ৬জন কে আসামি করা হয়। যার নং৩৩/৫২৬। মামলা সূত্রে জানা যায়, রাশেদের সাথে আসামীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা জানান, রাশেদের সাথে কথা কাটা কাটি হয়েছে বালু উত্তোলনকে নিয়ে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরো জানান, রাশেদ একজন বালু উত্তোলন কারী । সে যুক্তিতে বালু উত্তোলন করে, স্থানীয় – ইসমাইল,সেলিম, পাখি,মেস্তুরীও ইউপি চেয়ারম্যান ওমর হোসাইনের নিকট বালু বিক্রি করে। সে আইন কানুন কিছুই মানেনা বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে সে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে বলে স্থানীয়রা জানান।

আইনে আছে,এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধানসহ অন্য কোন বিধান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করিলে বা এই আইন বা অন্য কোন বিধান লংঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সিকিউটিভ বডি) বা তাহাদের সহায়তাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা হইতে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত বা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার হইবে। ১৮৯৮ এ নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অর্থদন্ড আরোপ সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা এই আইনের অধীন নির্ধারিত অর্থদন্ড আরোপে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সীমিত করিবে না। এই আইনের অধীন অপরাধ জামিনযোগ্য (ইধরষধনষব), আমলযোগ্য (ঈড়মহরুধনষব) ও আপোষযোগ্য (ঈড়সঢ়ড়ঁহফধনষব) হইবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ দ্বারা কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত দন্ডাদেশ প্রদানের ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের দায়রা জজের আদালতে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন। আইনে নিয়ম কানুন থাকার পরেও রাশেদ তা অমান্য করে বালু উত্তোলন করে বলে জানান ভূক্তোভোগী পরিবার বৃন্দ। এ বিষয়ে খবর বাংলাদেশসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করার পরেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেইনি বলে জানা গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় রাশেদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষেরও সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম জানান, রাশেদ জোর পূর্বক বালু উত্তোলন করে। এ সময় আমি বাঁধা দিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটা কাটি হয়। এ নিয়ে রাশেদ সদর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে বলে জানান ভূক্তোভোগী পরিবার। এ বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজ অনুরোধ করেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু। যেহেতু পুলিশ জনগনের বন্ধু তাই পুলিশের উচিৎ কারো মুখের কথা বিশ্বাস না করে সরে জমিন তদন্ত করে প্রকৃত ব্যাক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া জোর দাবী জানান এলাকাবাসী । কারণ আইন সবার জন্য সমান । যেন কারো মুখের কথায় গরিব অসহায় মানুষের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান সংবাদ বিশ্লেষকরা। সরে জমিন তদন্ত করে মামলা নেওয়ার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।

Powered by themekiller.com