কবিতা –এক সাঁওতাল মেয়ে মনের ভেতর
শ্যামল ব্যানার্জী
০৯/০৮/ ২০২১
শাল মহুয়ার বনে
চন্দ্রিমার বিবশ ক্ষণে
এক সাঁওতাল মেয়ে।।
হাড়িয়ায় বুঁদ নেশা
আমারই পাশ ঘেসা
নেপালের চিতোয়ানে ।।
নেচেছি দুজন, সেদিন ভীষন
যৌবন রেখেছি বাজি
অনুসূয়া তুমিও তো ছিলে
বন্যতার মাঝে,
তবুও হওনি রাজি।
হাতে হাত রেখে তার
যেন সে বাসবদত্তার
মাধুর্যটুকু আকন্ঠ করেছি পান
সব হারানোর শেষে এসে,
আজ কেন পড়ে মনে,
সেদিন দেখেছি চোখে তার
আমারই শেষ ভগ্ন আকার।
মনে কি আছে কে জানে
এত গোপনে,
তল অতলে পাইনে ঠিকানা।
বোধিবৃক্ষ পেলেও না হয়
যেত জানা।
কি আর করা যাবে, সাকারে বা নিরাকারে
যেখানেই অধিষ্ঠান হোক না তোমার,
তুমিই তো আমার একমাত্র সাঁঝের বেলা।
যত প্রেম আছে, যত ভালোলাগা,
হিসেব নিকেশ তুড়ি মেরে,
দিয়ে যাবো চড়ুইভাতি জেনে,
শুধু অশান্ত মন কেন আজও নির্জনতার অন্ধকারে।
জানি সবশেষে একদিন,
তরী বাঁধা আছে
সময় কালের তীরে
তরঙ্গ লহরী উঠবে যেদিন
চঞ্চল নীড়ে
ভাঙ্গিবে সেদিন সকল দুয়ার
আসিবে জোয়ার
তুচ্ছ করে প্রাণ
চলে যেতে হবে জানি
জ্যেতির্ময়ের আলোক সন্ধানে
রিক্ত শুন্য হাতে।
শুন্য তরী পূর্ণ করি
কান্ডারী বসে আছে
ললাট লিখনে।