বসন্তের প্রত্যুষ
৬/৮/২১
সোনালী আদক
মনে পড়ে হে প্রিয়, একদিন হৃদয়ের অট্টালিকায় ছিলো, এই অনাথের আদি নিবাস।
কত নাপাওয়ার বেদনা, পাওয়ার আনন্দে শুষে নিয়েছো বিশ্বাসের নিঃশ্বাস।
আজো চঞ্চল করে আমায়, সেই চলমান আভাস, নিকোটিনের প্রভাব।
চুপি চুপি এসে গুটি গুটি পায়ে প্রবেশ করেছো, অন্তঃপুরের দখল আন্দাজ করতে।
সাক্ষ্মীরা আজও বয়ে চলেছে, সেই প্রবাহমান স্মৃতি মেদুর রাত।
তার পর তো, তুমি তোমার মতো জীবনের ইতিহাস ঘেঁটে গলি পথ ছেড়ে, বেছে নিয়েছিলে রাজপথ।
বহু দিন পর ধূমকেতুর মতো উদীয়মান হলো, পিছে ফেলে আসা ধূসর আকাশ।
বিলীয় মান অভিমান, রামধনুর মতো রঙ ছড়িয়ে , গোধূলির সাথে মিশে একাকার।
অনুভূতির সাগরে শুধুই ভাঁটার টান,আর পাড় ভাঙার আতঙ্ক।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভা গ্রাস করেছে বুভুক্ষু অস্থি মজ্জা।
খুৎপিপাসু বিবেক আজ সুদখোরের কাছে বন্দক।
শৈল্পিক ভাবনারা কৌশলে এড়িয়েছে নিদারুণ বর্ষন।
নির্ঝর সপ্নের কোলাহলে মুখরিত বজ্রাঘাতের দাবানল।
আজও যাযাবরের মতো খুঁজে চলেছি অস্থায়ী , ঠিকানাহীন অতীত।
মনে পড়ে সেই স্মৃতির ক্যালেন্ডারের পাতায় কত বসন্তের প্রত্যুষ।
কী ভাবেই বা পড়বে মনে, তুমি তো এখন হুইলচেয়ারে, কোমায় আচ্ছন্ন নিথর প্রাণ।
নতুন জীবন সঙ্গীর সঙ্গে, নতুন জীবনের আলিঙ্গনে, আবদ্ধ হতেই তো চেয়েছিলে।
কালের কষাঘাতে চলন্ত ট্রাকে,,,,উঃ কী বিষম যন্ত্রণা, তছনচ হলো তোমার অনাথ জীবন।
সকলে মুখ ফিরিয়ে , দায়সারা খালাসের গণ্ডি টানলেও আমি পাড়লাম কই,
চরম সঙ্কটে সন্ন্যাসিনী হয়ে, পাথরের মূর্তির মতো , ইষ্টো দেবতার চরণে নিয়েছি ঠাঁই।
আশায় বুক বেঁধে বসে আছি, একদিন শ্রাবণ মেঘে সব অন্ধকার ধুয়ে ,নেমে আসবে আবারো বসন্তের প্রত্যুষ।