কবিতা — বসন্ত বিলাপ
শ্যমল ব্যানার্জী
৩১/০৭/২০২১
ঘোষণা হোলো শেষ।
নিস্তব্ধ জনমুখ।
কাঠগড়া জনহীন অব্যক্ত কথার ভীড়ে,
অদৃশ্য রেখা গেছে টেনে,
এখন এপারে আমি আর স্থানুবৎ তুমি ওপারে।।
যদিও আমরা দুজন মুখোমুখি,
শতাব্দী যোজন দূরে তালহীন আছি যেন,
নিরাকারে।
এখনি যেওনা চলে
একটু দাঁড়াও,
দেখে যাও শেষ অঙ্গীকারের বসন্ত বিলাপ,
সীমানার প্রান্তদেশে রেখে যাওয়া
কাটাছেঁড়া খন্ডিত বিশ্বাসের অপমান
এখনি যেওনা চলে, একটু দাঁড়াও।
রাত্রি যদিও নামেনি এখনও
গোধুলির স্তিমিত আলো,
ছায়া অন্ধকার ঘিরেছে চারদিক,
এখনি যেওনা চলে, একটু দাঁড়াও।
তোমার চকিত স্খলিত আঁচলের ভাজে
শকুন্তলার বিরহ কেন কাঁদে,
বলে যাও।
অকপট সে সময়, কৃপণের মতো রেখো ধরে
অশান্ত সময় কালে,এখনি যেওনা চলে,
একটু দাঁড়াও।
প্রাচীন বট আজ স্থবিরতায় অসংখ্য ঝুরি দিয়েছে ছড়িয়ে,
যত ব্যাথা, যন্ত্রণা জড়িয়ে , গভীরে তার হাজার কালো গহ্বরে,
প’ড়ে থাকে নিশ্চুপ কথা।
যেমন করে প’ড়ে থাকে হাজারো নক্ষত্র তারা দিনের আলোয়।
আমিও তেমনই করেই হাজার জোনাকি জ্বেলে যাই
রাতের গভীরে, অন্ধকারে।
সেদিন আমার সাম্রাজ্য পুড়ছিলো নীরব প্রতিশ্রুতি ভেঙে,
তুমিও কিছুটা উদাসীন, আপোষের ক্লিষ্ট অসুখে,
দ্বিধাহীন রেখেছিলে তোমার ভবিষ্যৎ
আর এক আদালত।
সেই ভালো যাও তুমি, হৃদয়ের সাতসুর ছেড়ে,
বিসর্জনের নির্ঘন্ট বিরহীর ওম আঁচে,
আমি না হয় একাকী নিরোর বাঁশি হাতে,
সুর তুলে যাবো।