মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
কঠোর লকডাউনের দশম দিনে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ অব্যাহত রয়েছে। এ রুটের ৪টি লঞ্চকে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় শিমুলিয়া ঘাটে মোবাইল কোর্ট জরিমানা করায় প্রায় ১ ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে। পরে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়। সময় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচণ্ড ঢল নামে। লঞ্চগুলোতেও প্রচণ্ড যাত্রী চাপ দেখা গেছে।
উভয় ঘাটে প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। গার্মেন্টসসহ রপ্তানীমুখী কল-কারখানা খোলার ঘোষণায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্র দাবি করেছে। এদিন গার্মেন্টস ছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরছেন। যাত্রী পারাপারে এদিনও ১০টি ফেরি চলছে। নৌযানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর,
মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে গণপরিবহন ঘাটে আসছে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। উভয় ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার বিপ্লব রায়হান বলেন, ‘আমি ঢাকার উত্তরায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। অফিসের কর্মকর্তাদের ফোন পেয়ে আমি কাজে যোগদান করতে ঢাকা যাচ্ছি। পথে পথে ভোগান্তির শেষ ছিল না। এখন ফেরি ঘাটে এসেও দেখছি ফেরিতে প্রচণ্ড ভিড়। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার পরে আর কত ভোগান্তি পোহাতে হবে কে জানে।’ বরিশাল থেকে আসা মো. আবু হালিম বলেন, ‘আমি গাজীপুরের হোসেন চৌধরী অ্যান্ড সন্স নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আজ থেকে অফিস খোলা তাই ঢাকা যাচ্ছি। সময়মত কাজে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না। বাস চললেও আমি বাস না পেয়ে ইজিবাইক আর মোটরসাইকেলে চড়ে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত আসলাম। ফেরি ঘাটে প্রচণ্ড ভিড় দেখে লঞ্চ ঘাটে আসলাম। এখানেও প্রচণ্ড ভিড়। লঞ্চে উঠতেও ভয় করছে।’