Breaking News
Home / Breaking News / রায়পুর আসন থেকে পাপুলকে হারাতে চায়না জনগণ ! সুযোগ থাকলে প্রার্থি পাল্টানোর দাবি আওয়ামী সমর্থকদের

রায়পুর আসন থেকে পাপুলকে হারাতে চায়না জনগণ ! সুযোগ থাকলে প্রার্থি পাল্টানোর দাবি আওয়ামী সমর্থকদের

লক্ষ্মীপুর ২ রায়পুর আসনে ১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত স্বতন্ত্র নির্বাচিত সাংসদ শহিদুল ইসলাম পাপুল বর্তমানে বিভিন্ন অভিযোগে দীর্ঘ সময় কুয়েতে আটক থাকার ফলে সংসদ সদস্য পদ নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্যপদ ঘোষনা কোরে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে । তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। আওয়ামী লীগ থেকে এ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জাতীয় পাটি থেকে শেখ ফয়েজ উল্যাহ সিফন. দলীয় প্রতিক নিয়ে মাঠে লড়ার প্রস্তুতিও সম্পূর্ন করেন এই দুই প্রার্থী। এদিকে করুনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন কমিশন তিন মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেন । এতে প্রার্থিরা চরম হতাশ হলেও পাপুল প্রেমি জনগণ ও আওয়ামী লীগের একটি অংশ চরম খুশি। পাপুল প্রেমি জনগণ এখনো পাপুলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন; তারা বলছেন পাপুল সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়ে অচিরেই জনগণের মাঝে পিরে আসবেন। এদিকে আওয়ামী নেতাকর্মীদের একটি অংশ – জেলার সাধারণ সম্পাদকের পথে থাকা নূর উদ্দিন চৌধুরি নয়নের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেননা , তারা এই প্রার্থীর প্রতি কারণে অকারণে চরম অসন্তুষ্ট, নেতা কর্মীদের একটি অংশ চাইচেন যদি সুযোগ থাকে তবে দল থেকে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হোউক, অথবা আইনি প্রক্রীয়ায় লড়ে পাপুল তার হারানো পদ পিরে পাক। এদিকে যে পাপুলের কড়া সমালোচনা করে তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেই পাপুল থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত, দুদক থেকে নোটিশ পাওয়া ব্যক্তি; কী ভাবে! বড় এবং বিচক্ষণ একটি দলের মনোনয়ন পান ! তা নিয়েও সচেতন মহলে রয়েছে চরম বিতর্ক। এবং ঐ দলটির স্বচ্ছ নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের বিশাল একটি অংশের মাঝে এ নিয়ে চরম চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নিরোপেক্ষ তদন্তে ও উঠে আসবে বলে মনে করেন সাধারণ সচেতন মানুষয় । অনেক নেতা কর্মীরা মাঠে ঘাটে দোকান পাটে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু দিন সরব থাকতে দেখা যায়। আবার অনেকেই পদ পদবী হারানোর ভয়ে , ক্ষমতার অপব্যবহার করবে এমন ভয়ে , ওপেন সমালোচনা- না করলেও চুপি চুপি সমালোচনা এখনো অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা যায়। তারা এভাবেই সমালচনা করছেন যে , পাপুলত বিদেশ থেকে টাকা এনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে সন্তুষ্ট করেছেন, প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের অফিস করেছেন; অফিসের খরচ দিয়েছেন; তার টাকায় রায়পুর অসনে দল বেশ চাঙগা হয়েছে। পাপুলের আর্থিক সহযোগীতায় অনেক নেতা কর্মীরা আজ প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা-তো দেশ থেকে বৈধ অবৈধ টাকা ইনকাম করে বিদেশ পাচার করবেন, জনগনের টাকা মেরে খাবে; এই ধারণা নিয়ে অনেকেই এখনো সমালচনায় সরব । লকডাউনের কারণে নির্বাচন কমিশন কতৃক নির্বাচনের তারিখ পাল্টানোর পাশাপাশি ; কোনো সুযোগ থাকলে দলের হাইকমান্ডকে প্রার্থি পাল্টানো বা পাপুলকেই স্বপদে বহাল রাখার প্রক্রিয়ার দাবি জানান অনেক নেতাকর্মী ও সাধারন সমর্থকরা। নির্বাচনি আসনটির সাধারণ জনগন বলছেন ; পাপুলের টাকা যদি অবৈধও হয়ে থাকে সেটা বিদেশে উপার্জিত টাকা ; আর সেই টাকা তিনি দেশের মাটিতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যয় করেছেন; এটা যদি মহা অপরাধ হয়! তবে যারা দেশ থেকে বৈধ অবৈধ টাকা উপার্জন কোরে কানাডার বেগম পাড়া সহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ বা টাকা পাচার করেন ; তাদেরটা কি হবে? এমন জিজ্ঞাসা জনমনে উকি মারে । বিদেশে শত শত কোটি টাকা আয় করা পাপুলকে, দেশের হাজার হাজার মানুষকে বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়া পাপুলকে, দেশের মাটিতে বড় ধরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়ার সার্থে ; দেশের সকল অভিযোগ থেকে যৌক্তিক মুক্তি দিয়ে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান পাপুল প্রেমি জনগন । এদিকে বিদেশে পাপুলের মামলার খোজ খবর জানতে চাইলে একটি সূত্র জানায়; ঘুষের মামলা ছাড়া সব কটি মামলা থেকে পাপুলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে । আশাকরি পাপুল মুক্তি পেয়ে অচিরেই দেশের মাটিতে পিরবেন, বাকি জীবনটা দেশের জনগনের কল্যানেই নিয়োজিত করবেন।

Powered by themekiller.com