অনলাইন ডেস্ক : বিআরটিএ’র অনুমোদনের পর বদলে যাচ্ছে গাড়ির বডি বা আকার। মালিকরা ইচ্ছামত আকার বড় করছে, আবার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানকে বানানো হচ্ছে বাস-মিনিবাস। যানবাহনের মৌলিক কাঠামো বদলে যাওয়ায় দেখা দেয়া নানা কারিগরী সমস্যা। এসব যানবাহন সড়ক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ফিটনেস সনদ দেয়ার পর এগুলো যথাযথ ভাবে পরীক্ষাও করা হয় না।
রাজধানীর অদূরে আমিনবাজার এলাকার এই ওয়ার্কশপে বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের বডি তৈরি হচ্ছে। আমদানি করা চেসিসের ওপর বসানো হয় এসব বডি।
সরেজমিনে দেখা যায়- আমদানি করা ১৫ থেকে ২২ ফুট দৈর্ঘের চেসিসের সামনে এবং পেছনে জোড়া লাগিয়ে আকার বড় করছে ওয়ার্কশপের কারিগররা। এভাবে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে চেসিস হয়ে যায় ১৭ ফুট। আর ১৭ ফুটের চেসিস করা হয় ২১ থেকে ২২ ফুট।
আর ডেমরার ওয়ার্কশপগুলোতে দেখা গেলো- পুরাতন এবং বাতিল গাড়ির চেসিসের নম্বর ঠিক রেখে বড় করা হচ্ছে। পরে রং লাগিয়ে ঝকঝকে চকচকে করে আবারো বডি বসিয়ে নামানো হয় রাস্তায়।
দেশের ত্রিশ হাজারের মতো ওয়ার্কশপ গাড়ির বডি তৈরি ও মেরামতের কাজ করে। এগুলোর কোনটিরই বিআরটিএর অনুমোদন নেই বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
২০০৯ সালে এসব ওয়ার্কশপকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিবন্ধন নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে, বিআরটিএ’র এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন বাংলাদেশ অটোমোবাইলস ওয়ার্কসপ মালিক সমিতি।
সবগুলো ওয়ার্কশপই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত উল্লেখ করেন এই ওয়ার্কসপ মালিক।