Breaking News
Home / তথ্যপ্রযুক্তি / ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে পাল্লা দিতে গুগল প্লাস-এর প্রস্তুতি

ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে পাল্লা দিতে গুগল প্লাস-এর প্রস্তুতি

২০১১ সালে গুগল প্লাস আসার পর সেখানে কেউ না কেউ অ্যাকাউন্ট একটা খুলে রেখেছিলেন ঠিকই। কিন্তু খুব বেশি ঢুঁ মারা হয় না। হয়তো ওই অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডই ভুলে গেছেন। তা ছাড়া ফেসবুক আর টুইটার থাকতে কেউ কি আর গুগল প্লাসে যেতে চায়। এ কথা মাথায় রেখেই নিজেদের সাজাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে গুগল প্লাস। এ বছরের প্রথম দিকেই গুজব ছড়ায় যে, গুগল প্লাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এটা একেবারে মন্দ নয়। দারুণ কিছু ফিচার রয়েছে। ফটো শেয়ারিং ফিচারসহ রয়েছে মেসেজিং অ্যাপ ‘হ্যাং আউটস’। তবে এর কোনো নামগন্ধ সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেখা যায় না। হয়তো একে নিয়ে গুগলেন তেমন আগ্রহও নেই। অথচ এক তথ্য প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতিমাসে ৬০ লাখ পোস্ট হয় এখানে। কিন্তু ফেসবুকের প্রতিমাসে ১.৫ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর তুলনায় এটি কিছুই নয়। টুইটারের আছে ৫০০ মিলিয়ন। ব্যবহারকারীদের এই বিশাল সংখ্যার কথা চিন্তা করেই হয়তো গুগল তাদের সোশাল মিডিয়াটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

ইতিম্যধে ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৬ সালের মধ্যে সাজিয়ে ফেলা হবে গুগল প্লাস। নতুন ব্যবহারকারীদের টেনে আনতে এতে নতুন নতুন ফিচার দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। গত সপ্তাহ থেকেই গুগল প্লাসে নতুন কর্মপ্রক্রিয়া নজরে পড়ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক অবস্থায় ‘কমিউনিটি’ নিয়ে উঠেপড়ে লাগতে চায় গুগল। এরা যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার পরিধি বৃদ্ধি করতে চাইছে। এ ছাড়া এই সাইটের চারদিকে একটু চোখ বুলালেই কিছু ভিন্নতা দৃশ্যমান হবে।

এর সাজেস্টেড পোস্ট অংশ যেন শেষ হওয়ার নয়, অনেকটা টাম্বলার-এর মতো। ব্যবহার অনেক সহজ হয়েছে। আনকোরা গুগল প্লাস এবং আগেরটির মধ্যে পার্থক্য হলো, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কোনো ব্যবহারকারীর পোস্ট সহজেই ফলো করা যায়। নতুন আয়োজনে ব্যবহারকারীদের পছন্দের ‘কমিউনিটি’ তৈরির পথ রাখা হয়েছে। যারা গুগলের প্রতি দুর্বল, তাদের আনাগোনা ইতিমধ্যে বেশ শুরু হয়েছে।

error: Content is protected !!

Powered by themekiller.com