অনলাইন ডেস্কঃ
বিতর্কিত কয়েকজনকে যুবলীগের কমিটিতে পদ দেয়া ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা। এক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তারা। এছাড়া, কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র জটিলতাও রয়েছে, যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন নেতারা।
নবম সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন আশিকুর রহমান শান্ত। তিনি এবার যুবলীগের নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। তার আরেক পরিচয়, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থর ছোট ভাই।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী, যিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নৌকার প্রার্থীকে হারিয়েছেন দুইবার। এছাড়া, সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়ে সমালোচিত হন এবং মামলায় জড়ান।
আইনজীবী চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
এই ৩ জনসহ আরও কয়েকজনের যুবলীগের পদ পাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে, যদিও প্রকাশ্যে কেউ কথা বলছেন না।
পদায়নে রাজনীতিতে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ভুল-ত্রুটি থাকার কথা স্বীকার করেছেন আরেক নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
আগের কমিটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ বিতর্কিত হয়েছিলেন যুবলীগের বেশকিছু নেতা। তারপর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবে কমিটি। কিন্তু সেটা এবারও হলো না।
গত শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুবলীগের ২০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস।