Breaking News
Home / Breaking News / দেশে বাণিজ্যকভাবে কুমিরের চাষে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা

দেশে বাণিজ্যকভাবে কুমিরের চাষে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের বাইরে কেউ বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ বা কোন হিংস্র বন্য প্রানী চাষ করছে শুনলেই চোখ কপালে উঠে মানুষের। এই তালিকায় কুমীরও পড়ে, যা চাষ হচ্ছে নিজেদের দেশেই।
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিশ্বে কুমীর চাষের শুরু প্রায় চার দশক আগে। দেশে এই চাষের বয়স দেড় দশক হলো, যার বাণিজ্যিক যাত্রা আন্তর্জাাতিক পরিমন্ডলে শুরু হয়েছে ২০১০ সালে।

মানুষের কাছে বিলুপ্তপ্রায়, হিংস্র ও বণ্য প্রাণিদের পরিচিত করতে ১৮৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সেন্ট অগাস্টিন সমুদ্র সৈকতে গড়া হয় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন চিড়িয়াখানা। দ্রুত কুমীর হয়ে ওঠে সেই চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ। দর্শণার্থীদের কৌতুহলের কারণে ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যসব প্রান্ত থেকে সকল প্রজাতির কুমীর আনে সেখানে এবং ১৯৬০ সালে শুরু হয় কুমীর চাষ।

আশির দশকের শুরুতে প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল পাপুয়া নিউ গিনিতে কুমীরের চামড়ার পোশাক দেখে আকৃষ্ট হয় হলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতারা। সেসব পোষাকের ব্যবহার শুরু হয় হলিউডের চলচ্চিত্রে। বেড়ে যায় কুমীরের চামড়া থেকে বানানো পোশাক-ব্যাগ-জুতার কদর। যা প্রকারন্তরে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কুমীরের চাষ উৎসাহিত করে।

আঁশির দশকের মাঝামাঝি বিখ্যাত বণ্যপ্রাণি গবেষক রোমালাস আর্ল হুইটেকার দেশে আসেন। গবেষণা করে দেখেন চামড়ার জন্য বিখ্যাত নোনা পানির কুমীরের অভয়ারণ্য বাংলাদেশ। কুমীর চাষের জন্যও সর্বাধিক উপযুক্ত এখানের আবহাওয়া ও পরিবেশ। এরপর থেকে স্থানীয় ব্যবসায়িদের মাথায় বাণিজ্যিক ভাবে কুমীর চাষের চিন্তা আসে।

মালয়েশিয়া থেকে আমদানী করা ৭৫টি কুমীর দিয়ে ২০০৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে হাতিবেড়া গ্রামে বেসরকারি ভাবে গড়ে ওঠে দেশের প্রথম কুমীর খামার- রেপ্টাইলস ফার্ম লিমিটেড। এই খামারের কুমীরের চামড়া বিদেশে রপ্তানির মধ্যে দিয়ে ২০১০ সালে শুরু হয় দেশের প্রথম কুমীর বাণিজ্য।

ময়মনসিংহসহ বর্তমানে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে কুমীর খামার আছে দু’টি। আকিজ ওয়াইল্ড লাইফ ফার্ম নামের অপর খামারটি গড়ে উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে দেশে কুমীর চাষের শুরু সুন্দরবনের করমজলে সরকারি প্রজনন কেন্দ্রে, যা বাণিজ্যক উদ্দেশ্যে নয়, কুমীরের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য করা।

Powered by themekiller.com