Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ৫২ কেন্দ্রের ৩’শ ৫টি কক্ষ চূড়ান্ত

চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ৫২ কেন্দ্রের ৩’শ ৫টি কক্ষ চূড়ান্ত

অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত ৫২টি কেন্দ্রে মোট ৩’শ ৫টি কক্ষ ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আর এসব কক্ষে ভোট দিতে আসবেন ভোটাররা। সর্বমোট ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪’শ ৮৭ জন ভোটার কক্ষগুলোতে ভোট দিতে যাবেন।

১১ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন।

তিনি জানান, এই নির্বাচনে ৫২ কেন্দ্রে ৫২ জন পিজাইডিং অফিসার, ৩’শ ৫টি কক্ষে ৩’শ ৫ জন সহকারী পিজাইডিং অফিসার এবং কক্ষপ্রতি ২ জন পোলিং অফিসার অর্থাৎ ৩’শ ৫ কক্ষে মোট ৬’শ ১০ জন পোলিং অফিসার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে আমরা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সব রকমের প্রশিক্ষণের জন্য সম্ভ্যাব্য পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। সেই পরিকল্পনাটি ৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। যার মধ্যে প্রশিক্ষণ, ডেমোনেস্টিং, মগ বডিং ও প্রদর্শনী রয়েছে।

এই নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ হচ্ছে বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন আরও জানান, নির্বাচনে ৩’শ ৫টি কক্ষে ৩’শ ৫ টি ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও আরো ৩’শ ৫টি ইভিএম মেশিন জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে। এতে করে নির্বাচনে কোন ব্যাঘাত ঘটার সুযোগ নেই। সুতরাং সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ই অক্টোবরই এই পৌরসভার নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, স্থগিত হওয়া চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের পুনঃ তফসিলে ১৫ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেলা রিটার্নিং অফিসার অর্থাৎ আমার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১৭ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই। ২৪শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ই অক্টোবর শনিবার ভোটগ্রহণ। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই নির্বাচনে শুধুমাত্র মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ইতিপূর্বে মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের আর নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন হবে না। একই সাথে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদেও নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ থাকবে না।

নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানান, এই বিষয়ে নানান তথ্য সংগ্রহ চলছে। এই সংক্রান্ত তথ্য চূড়ান্ত করতে বেশ কয়েকটি সভা করা হবে। তবেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করে আমরা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। এখন আপাতত প্রার্থীদের কেউ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘণ হচ্ছে কিনা ঐ বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করছি।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনটি এর আগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়। গত ২৯শে মার্চ এই নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিলো। তবে ১৬ই মার্চ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছিলো নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কা নিয়ে লড়ছেন অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং হাতপাখা মার্কার প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বেলাল।

প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় ৪১ টি মার্কা ও স্বতন্ত্র ১২ টি মার্কার যে কোন একটি নিয়ে যে কেউ মেয়র পদে প্রার্থীতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবে। তবে ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য বরাদ্দকৃত ১২ টি মার্কা ও ১৪জন সংরক্ষিত কাউন্সির প্রার্থীর জন্য ১০ টি মার্কা চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদের মাঝে ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র মেয়র পদে নতুন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ বাকি রয়েছে।

এ দিকে আজ ১১ই সেপ্টেম্বর বা কাল ১২ই সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? তা নির্ধারণ হতে পারে। এমন কথা জেলা বিএনপি’র একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপরই মেয়র পদে লড়াই জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা সকলের।

Powered by themekiller.com