অনলাইন ডেস্ক :স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘বিতর্কিত বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে কর পৃথক দুই মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এই দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল সোমবার খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে এই দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর সে জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর পৃথক দিনে চেম্বার বিচারপতির আদালত রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক আবেদন দুটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল দুটি খারিজ কিরে আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। ওই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার সে বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়। এরপরই স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘বিতর্কিত বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলাটি করেন।
আর মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহিদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মানহানির মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।