নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরে দিন দিন শিশু-কিশোরী ধর্ষণ নির্যাতন বেড়েই চলছে।
গত এক মাসে চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে কিশোরী ও শিশু ধর্ষণ সহ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও মুল আসামীদের গ্রেফতার করতে না পারায় দিন দিন ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন ঘোড়ামারা গুচ্ছগ্রামে বিবাহিতা যুবতীকে হাতে পা মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস রমজান অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় তার সহযোগী হিসেবে রাকিব (১৬) নামের এক ছেলেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বুধবার গভীর রাতে ঘোড়ামারা গুচ্ছগ্রামের ৬ এর ২ নাম্বার পরিত্যক্ত ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞান হওয়া যুবতীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, ঘোড়ামারা গুচ্ছগ্রামের ৯ এর ১০ নাম্বার কক্ষের বাসিন্দা রশীদ তালুকদারের মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ ৫ এর ১০ নাম্বার কক্ষের বাসিন্দা আরশাদের বখাটে ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাস রমজান উত্তপ্ত করে আসছে।
এক মাস পূর্বে রমজান সেই মেয়েটিকে জোর করে ধরে তাদের ঘরে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জড়িয়ে ধরে অশ্লীল ভাবে ছবি মোবাইলে ধারণ করেন।
পরে যুবতি স্বামীর কাছে সেই ছবি দেখিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
সেই ঘটনায় স্থানীয় ভাবে একবার সালিশী বৈঠক হলে পরবর্তীতে শুক্রবারে সালিশী বৈঠক হওয়ার তারিখ পরে।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান ও তার সহযোগী রাকিবকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাতের আধারে যুবতীকে ধরে পরিত্যক্ত ঘরে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী রাবেয়া আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশীদের জানিয়ে অবশেষে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই ঘটনায় হাতেনাতে রমজানের সহযোগী রাকিবকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গুচ্ছগ্রামের হানিফ সহ তার সহযোগীরা চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে একজন আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।