অনলাইন ডেস্ক :নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় সন্তান জন্ম দিয়ে হইচই ফেলে দেয়া জাসিন্ডা আরডার্ন আবার নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিন মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে হাজির হয়েছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে।
ইতিহাসের প্রথম এমন কোনো ঘটনার জন্ম দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। দায়িত্বের পাশাপাশি মাতৃত্বের এমন নিদর্শন স্থাপন করায় পাচ্ছেন একের পর এক অভিনন্দন বার্তা।
নেলসন মেন্ডেলা পিস সামিটে অংশ নেয়া ৩৮ বছর বয়সী আরর্ডানকে দেখা যায় কন্যা নেভকে আদর করে চুমু দিয়ে তার সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের কাছে দিচ্ছেন।
বিশ্বনেতাদের গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে দেখা গেছে, নেভ তার মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আর মা জাসিন্ডা আরডার্ন ভাষণ দিচ্ছেন। পাশে থাকা তার সঙ্গী ক্লার্ক খুব দায়িত্বের সাথে আগলে রেখেছেন ছোট্ট নেভকে।
নিউজিল্যান্ডের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লার্ক। তিনি টুইট বার্তায় নেভের জাতিসংঘে কূটনৈতিক সভায় যাওয়ার আইডি কার্ডটিও শেয়ার করেন।
ক্লার্ক সেখানে লেখেন- তাদের সন্তানই নিউজিল্যান্ডের প্রথম কোনো শিশু যে এমন একটি অভিবেশনে যোগ দিয়েছে।
তবে এই বিষয়ে আরডার্ন নিউজিল্যান্ড হ্যারালেন্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নেভকে নিয়ে এই সেখানে যোগদানের বিষয়টি একটি বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত ছিল। নেভ অধিকাংশ সময়ে আমার সাথেই থাকে। যখন সে ঘুম থেকে জেগে উঠে আমারা চেষ্টা করি তার পাশে থাকার। তাই জাতিসংঘের এই সমাবেশে তাকে নিয়ে আসা।
১৮৫৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাসিন্ডা আরডার্ন। গত অক্টোবরে তিনি কেন্দ্রীয় বাম (সেন্টার লেফট) জোটের দায়িত্ব পান ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আরডার্নের লেবার পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। ওই নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির নেতা উইনস্টন পিটারের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন জাসিন্ডা আরডার্ন।
প্রধানমন্ত্রী হবার মাত্র ছয় দিন আগে আরডার্ন জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এটি তার জন্য দারুণ খবর ছিল। আর সব মায়ের মতো তিনিও এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন।