Breaking News
Home / Breaking News / …সাংবাদিকরাই জাতির বিবেক….

…সাংবাদিকরাই জাতির বিবেক….

সাংবাদিকরাই জাতির বিবেক….
করোনা ভাইরাস সংক্রমন ছোঁয়াছে রোগ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। দেশের ৬৪টি জেলার শহর, গ্রামগঞ্জের এলাকা গুলোতে স্বর্দি, কাশি, হাঁচি ও জ্বরের লক্ষন দেখা দিয়েছে, প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল গুলোতে করোনা ভাইরাসের লক্ষন নিয়ে ভর্তি আছে রোগিরা। চিকিৎসা চলছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের। কেউ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন, কেউবা অকাল মৃত্যুতে পাড়ি জমাচ্ছে অন্ধকার কবরে। মহামারি আকার ধারন করলেও থেমে নেই সাংবাদকতা। টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা কেউ ঘরে বসে নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছে প্রতিনিয়ত। করোনা ভাইরাস ছোঁয়াছে রোগ জেনেও সাংবাদিকদের নেই মৃত্যুর ভয়। ওরা দিবারাত্রি সংবাদ সংগ্রহ করতে হাসপাতাল, শহর ও গ্রামাঞ্চলের পথ ছুটে চলেছে। শহরের অলি গলিতে সংক্রমন রোগে কেউ আক্রান্ত কিংবা লক ডাউনের কারনে কারো পরিবার অনাহারে রয়েছে কিনা তার খবরও তাৎক্ষনিক পৌছে দিচ্ছে নিজস্ব ফেসবুক কিংবা অনলাইন গুলোতে। করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে থেকেও সংবাদ সংগ্রহকাজে নিয়োজিত রয়েছে সংবাদকর্মী নামক সাংবাদিকরা।

চলতি করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোগ চারিদিকে যেমনি আঘাত হানছে তেমনি মৃত্যু ধীর গতিতে ধেয়ে আসছে। এ রোগ প্রতিরোধে সরকার বসে নেই। সরকার করেনা ভাইরাস সংক্রমিত এলাকা গুলোকে লকডাউন করে দিয়েছে। সেই সাথে দরিদ্র হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে ত্রান দিয়ে যাচ্ছেন প্রশাসনিকভাবে। থেমে নেই সরকারী দলের নেতাকর্মীরা, মানুসের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান পৌছে দিচ্ছেন।

২৬ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়া পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটা জেলা উপজেলার শহর ও গ্রামাঞ্চের মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেনো করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিয়ম গুলো মেনে চলে। নিয়ম মানলেই ভয়াবহ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আর বিধাতার কাছে আবেদনই হলো করোনা ভাইরাসের মহৌষধ। এদিকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে থমতমে ভাব বিরাজমান থাকলেও সাংবাদিকরা থেমে নেই। জাতির বিবেকখ্যাত সাংবাদিকরা করোনা ভাইরাসকে ভয় না করে তাদের মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে।

দেশে দুজন সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৫ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের যেনো ঘটনাস্থলে যেতে না হয় সে জন্য টেলি কন্ফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহ করার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি সাংবাদিকদের সুস্থ্যভাবে জীবনযাপনের জন্য এ প্রজ্ঞাপন দেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারন সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। তিনি এ প্রথা মাথায় রেখেই সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

আমি একজন সংবাদকর্মী হয়ে বলতে চাই, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগে ও পরে আমরা সাংবাদিকতা করেছি। এখনো করে যাচ্ছি। আগামীতেেও করে যাবো। এটাই হলো সাংবাদিকদের অহংকার। সৎ সাংবাদিকদের নেশা ও পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা করা। এরা কখনো ঘরে বন্ধি হয়ে থাকতে পারেনা, এরা কখনো মহামারি কিংবা করোনা ভাইরাসকে ভয় পায়না। মাঠে যেমন এদের সংবাদ সংগ্রহ নেশা রয়েছে তেমনি রয়েছে জনগনের সেবা করার মহৎ উদ্যোগ। সাংবাদিকরা মাঠে থাকবেই, নেই ওদের ভয়, নেই ওদের হিংসাবিদ্বেষ, শুধু প্রধানমন্ত্রীকে বলবো এ দেশের সাংবাদিকদের দায়িত্ব যেনো কারো আঙ্গুলের নেশায় অপসারিত না হয়। এমনি সৎ সাংবাদিকেরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে তা যেনো কোনো আমলাদের আঘাত খেতে না হয়, সে ব্যবস্থাটুকু করবেন, প্লীজ। আরেকটু না বলে পারছিনা, করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়ংকর দুস্কৃতকারী রয়েছে এ দেশে, এরা সরকারি দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সংবাদকর্মীর কলম ভেঙ্গে দেয়ার পাঁয়তারা করে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে এদের জীবন হুমকির মুখোমুখি হয়, এরা লাঞ্চিত হয়, পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে আতংকে বসবাস করে, এমনকি দুস্কৃতকারীদের থাবায় পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কিন্তু সাংবাদিকরা কখনই বিচার পেয়েছে কিনা আমার বোধগম্য নহে। ভালো থাকুক সংবাদকর্মীরা, ভালো থাকুক তাদের পেশা ও নেশা, ভালো থাকুক তাদের পরিবার পরিজন।

লেখকঃ এম. আর হারুন
সাংবাদিক, চাঁদপুর।

Powered by themekiller.com